এবার টুথব্রাশে মল খুঁজে পেলেন গবেষকরা। সম্প্রতি ক্যুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৬০ জনের ব্রাশেই থাকে মলের অস্তিত্ব।
সেখানে দেখা গেছে, প্রতিদিন ব্রাশ করার সময় মুখে জমে থাকা খাবারের কণা এবং মুখগহ্বরের মাইক্রোস্ক্র্যাপ জমা হয় ব্রাশের ব্রিসিলের গোড়ায়। যা জমে জমে ক্রমে বিষ্ঠারই অন্যরূপ হয়ে ওঠে। এর থেকে যে জীবাণু জন্ম নেয় তা মলে থাকে। স্ট্যাফিলোকোকাস অরেসাস, হার্পিসের মতো জীবাণু কখন যে আপনার ব্রাশে বাসা বাঁধছে তা নিজেও জানতে পারছেন না। গবেষণায় আরও জানা গেছে, এই জীবাণু থেকে হেপাটাইটিসের মতো রোগও হতে পারে।
অনেকে টুথব্রাশে ক্যাপও ব্যবহার করেন। তবে তাতে লাভের লাভ বিশেষ হয় না। জীবাণুদের আটকাতে তা কোনও কাজেই আসে না। অধ্যাপক লরেন অ্যালবার জানান, 'যারা ব্রাশে ক্যাপ ব্যবহার করেন তারা জানতেও পারছেন না যে এতে ব্রাশে জীবাণুদের স্বর্গরাজ্য তৈরি হয়। কারণ এতে দীর্ঘক্ষণ ব্রিসিল ভিজে থাকে। দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার মধ্যে ব্রিসিল ভালো করে শুকিয়ে নেওয়া খুব প্রয়োজন।'
তিনি আরও জানান, মাস খানেক অন্তর ব্রাশ পাল্টে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ব্রাশ করার পরে তা ভালো করে ধুয়ে নেওয়াও খুব জরুরি। সপ্তাহে অন্তত এক বার খানিকটা জলে একটু মাউথওয়াশ দিয়ে ব্রাশ ডুবিয়ে রাখুন। এতে নীচে জমে থাকা ময়লা অনেকটা পরিষ্কার হবে। উপরন্তু মাউথওয়াশের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল পদার্থ জীবাণুদের নষ্ট করতে সাহায্য করে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ