সেলফি তোলায় মেতেছিল দুই বন্ধু ফারহান (১৫) আর ফাহাদ (১৪)। নানান অ্যাঙ্গেলের এই সেলফি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলে হাজারো লাইক পড়বে-এই ভেবেই সেলফি তুলছিল দুই বন্ধু। এক সময় দু'জনের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চাপল। ঠিক করল খেলনা বন্দুক নিয়ে কয়েকটা সেলফি তুলবে।
একজন আরেকজনের মাথায় বন্দুক ধরবে। প্রথমে খেলনা বন্দুকটি হাতে নিয়ে পোজ দেয় ফারহান। বন্দুক তাক করে ফাহাদের মাথায়। চেহারাটা একটু রাগী রাগী করে, ফারহানের ভাবখানা এমন যেন সত্যি সত্যিই গুলি করবে ফাহাদের মাথায়। আর ফাহাদও মুখটা এমন করে রেখেছিল যেন-দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও, মেরো না। দু'জনই রেডি, গান পয়েন্টে ফাহাদ। ক্লিক বাটনে চাপ দিতে যাবে, ঠিক তখনই গুলি। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ফারহান। রক্তে একাকার চারদিক। দ্রুত ফারহানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অতিরিক্ত রক্ত ষরণে মৃত্যু হয় তার। গত সোমবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে।
ওই কিশোরকে লক্ষ্য করে গুলি করা পুলিশ অফিসার ফরিয়াদ চিমা তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ভেবেছিলেন এই দুই কিশোর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত। তিনি বুঝতে পারেননি তাদের হাতে খেলনা বন্দুক ছিল। এই ঘটনায় ফরিয়াদসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ জুন, ২০১৫/ রোকেয়া।