গবেষণা অনুযায়ী, শ্বেতাঙ্গদের থেকে কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা জরায়ুর ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেশি। অতীতের মার্কিন গবেষণায় সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বাড়বাড়ন্তকে যতটা আতঙ্কের বলে মনে হয়েছিল, বিপদ আদতে তার থেকেও বেশি।
বাল্টিমোরের হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে আসছে। ক্যান্সারের সাদা কালো ভেদের কথা আগেই জানানো হয়েছিল। নতুন গবেষণায় রংভেদে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝোঁক আরও বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ, যতটা ভাবা হয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি কৃষ্ণাঙ্গ নারী জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত। সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে ‘ক্যান্সার ’ জার্নালের ২৩ জানুয়ারি সংখ্যায়।
যদিও এমনিতেই জরায়ুর ক্যান্সার নারীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। ক্যান্সার রোধ করার লক্ষ্যে হিস্টেরেক্টমির মাধ্যমে জরায়ু বাদ দেওয়া হয়। সংক্রমণ রোখার উদ্দেশ্যেই আজকাল এই পদ্ধতি ব্যাপক ভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ক্ষেত্রে হিস্টেরেক্টমি করা হয়নি এমন নারীদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আগের সেই সমীক্ষায় দেখিয়েছিল, শ্বেতাঙ্গদের থেকে কৃষ্ণাঙ্গ নারীরা জরায়ুর ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত। নতুন মাপকাঠিতে সমীক্ষার পর সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। শ্বেতাঙ্গ নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৪৭ শতাংশ।
নিউ ইয়র্কের লেনক্স হিল হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জেনিফার ওয়ুর বক্তব্য, ‘এর পিছনে আর্থ-সামাজিক কারণ রয়েছে। অনগ্রসর এলাকা যেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা বেশি, সেখানে নারীদের শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা ঠিক সময়ে হয় না। তাই তাদের মধ্যে ক্যান্সার বেশি ধরা পড়ে। অন্য রোগও বেশি থাকার সম্ভাবনা বেশি।’
নিউ ইয়র্কের স্টেটেন আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মিশেল মাইমানের মতে, ‘জরায়ুর ক্যান্সার নির্ণয়ে আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি সর্বত্র সমান ভাবে ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেন বর্ণভেদ না করা হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।'