কোনও মেয়েই নেই। অথচ চার মেয়ের নামে নকল বিমা করিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়। নিজেই নিজের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে রটিয়ে দিলেন, চার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এরপর সেই নকল চার মেয়ের বিমার টাকা দাবি করে বসলেন। এমনই এক বাবার কীর্তি সামনে এসেছে। ঘটনাটি ভারতের গুজরাটের বন্দর শহর সুরাটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তির আদৌ কোনও মেয়ে নেই। নকল মৃত্যুর শংসাপত্র বানিয়ে পুলিস প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে বিমার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। সুরাটের মুলাড গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সবজি বিক্রেতা রমেশ প্যাটেল বিমার ২০ লক্ষ টাকা হাতানোর জন্য তার ৪ মেয়ে বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে এই রকম মিথ্যা গল্প ফাঁদে।
এর আগে ওই ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকার বিমা কেনেন প্রত্যেক মেয়ের নামে। মেয়েদের ভুয়া ফটো, জন্মের সনদপত্র সহ ভুয়া তথ্য সবই জমা দেন বিমার অফিসে। ভুয়া জন্মের সনদপত্রে মেয়েদের বয়স দেখানো হয় ৮ থেকে ১২ বছর। ১৩ মার্চ রমেশ নিজের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগিয়ে দেন। সেই আগুনে বাড়ির চারটে শূকরকে পুড়িয়ে মারেন তিনি।
পুলিশের কাছে গিয়ে রমেশ বলেন যে আগুনে তার চার মেয়ে পুড়ে মারা গেছে। পুলিশ প্রথমে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা দায়ের করলেও পরে পুলিশ তদন্ত করে আসল সত্য উদ্ঘাটন করে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ‘রমেশের বিয়ে হলেও তার কোনও কন্যাসন্তান নেই। শুধুমাত্র বিমার টাকা হাতানোর জন্যই সে মিথ্যা গল্প বানায়। বহুদিন ধরেই রমেশ এই পরিকল্পনা করছিল।’
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৪