সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বলতে আসলেই কিছু নেই। তা সত্ত্বেও সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা হয়। সুন্দরীরা সেই প্রতিযোগিতয় অংশগ্রহণও করেন। রূপ, রং, বুদ্ধির বিচার করে তাদের মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে নেন একজন। এমনই এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইউথ ল্যাবরেটরিজ নামে রাশিয়ার এক কম্পানি। তবে এই প্রতিযোগিতা অন্যান্য সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা থেকে বেশ আলাদা। কারণ এখানে বিচারক একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম। ‘বিউটি.এআই’ নামে একটি প্রোগ্রামের সাহায্যে ‘ন্যাচারালি বিউটিফুল’ বিচার করা হয়।
প্রতিযোগিদের কোনও রকম রাউন্ডের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। শুধুমাত্র সেলফি আপলোড করলেই বিচারকদের নজরে আসবেন তারা। তবে শর্ত হল সেলফি হবে একেবারে মেক-আপ ছাড়া এবং চশমা ছাড়া। এরপর শুরু হয় ‘বিউটি.এআই’-এর প্রোগ্রামের কাজ। সেই প্রোগ্রাম বিচার করে মুখে বলিরেখা রয়েছে কি না, মুখের গড়ন, মুখে কোনও ব্রণ রয়েছে কি না, ত্বকের রং ও বয়স।
রোবট-এর সাহায্যে প্রতিযোগিতার মীমাংসা হয়। সুতরাং এখানে একদম নিরপেক্ষ বিচার হয়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে, ৪৪জন জয়ীর মধ্যে মাত্র একজন ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। ৩৬জন ছিলেন শ্বেতাঙ্গ, যার মধ্যে মুষ্টিমেয় বিজয়ী ছিলেন এশীয়।
বিশ্বজুড়ে যখন মানুষের মধ্যে বর্ণভেদ নিয়ে ঘটে চলেছে নানা ঘটনা, তখন রোবটও যে এমন ধারণা পোষণ করবে, তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৬