পুরুষের শরীরে নারীর অভিব্যক্তি। এমন আচরণ মেনে নিতে পারেনি পরিবার। তবে ভারতের বেহালার রনি দাস (ছদ্মনাম) নারী পরিচয়েই বেঁচে থাকতে চান। আর সেই বেঁচে থাকাটাই প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের দিল্লির মোরাদাবাদে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ‘সেক্স রি-অ্যাসাইনমেন্ট সার্জারি’ করানোর পর রনি শহরে ফেরেন ৩১ মে। কিন্তু গত শনিবার সন্ধ্যায় যৌনাঙ্গ থেকে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর তাকে মৌলালির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হতে হয়।
রূপান্তরকামীদের উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা রনিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। রবিবার দুই ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছে। আরও দুই ইউনিট দেওয়া হবে।’’
মানবী আরও বলেন, ‘‘রনি জানিয়েছে, অপারেশনের জন্য ওর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ধরনের অপারেশনে ৩-৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। আমার আশঙ্কা, ওর থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ, যিনি অপারেশন করেছিলেন, তিনি এখন ফোন ধরছেন না। রনির কী অপারেশন হয়েছিল, তা এখনই বোঝা সম্ভব নয় বলে এখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।’’
মে মাসের মাঝামাঝি মানবীর সঙ্গে দেখা করে রনি জানিয়েছিলেন, "দিল্লির এক কলেজের অধ্যক্ষ তার এই অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তারপর বাড়িতে না জানিয়ে দিল্লি চলে যান রনি। পরে রনি জানতে পারে, সেই ব্যক্তি আদতে স্কুলের মালিক। তিনি অস্ত্রোপচারের প্যাকেজের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।"
রবিবার রনির জন্য রক্ত দিতে নার্সিংহোমে হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন রূপান্তরকামী। এই সময় মানবী বলেন, "চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তক্ষরণ বন্ধ হলেও ইন্টারনাল হেমারেজ হচ্ছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। যখন রনিকে আনা হয়েছিল, তখন ওর মুখ দিয়ে ফেনা বেরোচ্ছিল। ওর বিপদ এখনও কাটেনি।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৭ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৩