ইউরোপীয় এবং রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানান, মঙ্গলগ্রহে মিলেছে সুপীয় পানির স্তর। মঙ্গলীয় বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের একটি পাতলা স্তর লক্ষ্য করা গেছে।
জানা গেছে, ইউরোপীয় এবং রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থার একটি অরবিটার এই নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছে।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি (রোসকোমোস) ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ এক্সোমার্স ট্রেস গ্যাস অরবিটার পাঠিয়েছিল। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর সেটি মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায়। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছরের মাথায় সেই অরবিটার থেকে এলো এই দারুণ আবিষ্কারের তথ্য।
বিজ্ঞানীরা জানান, এক্সোমার্সের মাধ্যমে তারা মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের একটি হালকা স্তরের উপস্থিতির চিহ্ন পেয়েছেন। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই বাষ্প থাকার অর্থ সেখানে হয়তো কোনো একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, যেহেতু এর বায়ুমণ্ডলে হালকা বাষ্প রয়েছে, এর থেকে বলা যেতে পারে এই গ্রহের প্রাচীন উপত্যকা এবং নদীতে কখনও না কখনও অবশ্যই পানি ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গল গ্রহে যে পানির প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার বেশিরভাগ অংশই বরফের নীচে।
ব্রিটেন ওপেন ইউনিভার্সিটির দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহে নিশ্চয়ই পানি আছে, আর সেই কারণেই কোথাও থেকে জলীয় বাষ্প ফুটো হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে। আর জলের থাকা মানেই যে সেখানে প্রাণের স্পন্দন থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন এবং ডিউটিরিয়াম কিছু অনুপাতে মিশে রয়েছে। এই অনুপাত থেকে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নিশ্চয়ই এই গ্রহে কোনও একসময় পানি ছিল।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে লালগ্রহ। চীনের মহাকাশযান বুধবার মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছেছে। মে মাসে সম্ভববত এটি মঙ্গলের মাটিতে নামবে। তার আগের দিন মঙ্গলবারে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে ছিল আরব আমিরাতের মহাকাশযান।
সূত্র: কলকাতা*২৪।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন