উত্তর ইংল্যান্ডের উলার শহরের স্কটস পার্ক নামে একটি শিশুদের খেলাধুলার মাঠে খননকাজ চলাকালে একে একে ১৭৭টি যুদ্ধকালীন বোমা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়েছিল।
গত জানুয়ারিতে পার্কে নতুন খেলনা বসানোর সময় কর্মী স্টিভেন পার্কিনসন প্রথম একটি বোমা খুঁজে পান। পরে বিশেষজ্ঞ দল এসে নিশ্চিত করে যে, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা। শুরুতে পার্কিনসনের মনে হয়েছিল এটি একক কোনো বোমা। তবে দুই দিনের মধ্যেই আরও ৯০টি বোমা মেলে। ফলে পুরো মাঠ খুঁড়ে দেখা হয়।
বোমা অপসারণে কাজ করে ব্রিমস্টোন নামের একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান। তারা হাতে খুঁড়ে ও ডিটেক্টর দিয়ে পুরো জায়গা পরীক্ষা করে। তিন সপ্তাহ ধরে চলা অভিযানে মোট ১৭৭টি বোমা উদ্ধার হয়। এগুলো ছিল ‘প্র্যাকটিস বোমা’ যেগুলো পুরোপুরি সক্রিয় না হলেও বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম ছিল।
ইতিহাসবিদদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এলাকায় সেনাদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ও গোলাবারুদের গুদাম ছিল। কাছেই আরএএফ মিলফিল্ড ঘাঁটিতে প্রায় ২ হাজার সেনা অবস্থান করত। পুরোনো নথি ও আকাশ থেকে তোলা ছবিতেও এখানে সামরিক স্থাপনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুদ্ধ শেষে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরানোর দায়িত্বে শৃঙ্খলা ছিল না। অনেক জায়গায় সাগরে ফেলে দেওয়া হয়েছে, আবার কোথাও মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। উলার পার্কের নিচে চাপা পড়া বোমাগুলো সম্ভবত সেই সময়কার।
স্থানীয় কাউন্সিল দ্রুত এলাকা সিলগালা করে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এখন পার্ক আবার খুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর মার্ক মাদার বলেন, আমি ছোটবেলায় এই মাঠেই খেলেছি। তখন জানতামই না, মাটির নিচে এতগুলো বোমা লুকানো আছে। এগুলো অপসারণ হওয়ায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি। সূত্র : বিবিসি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল