সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, সংবাদপত্র বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিলে তা রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার হবে। বাতিলকৃত ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, আজকে সংবাদপত্রে দেখলাম, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের হাতে এক সময় যে ক্ষমতাটি ছিলো এবং সেই জেলা প্রশাসককের কাছে সংবাদপত্র বন্ধের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে আবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা জানি যে, অনেক সংবাদপত্রকে ব্যবহার করে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পূর্বে দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সে কারণে জেলা প্রশাসকের হাতে আবার বাতিলকৃত ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ ঠিক হবে না। কারণ আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩-এর মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। যা ৭১'র মহান রক্তাক্ত স্বাধীনতার মাধ্যমে অর্জনের মাধ্যমে সংবিধানের মেলিক অধিকার বঞ্চিত করা হবে। সংবাদপত্র বন্ধের জন্য যদি জেলা প্রশাসকদের ক্ষমতা দেয়া হয় তাহলে বার বার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হবে। অনেক জেলা পরিষদ থেকেও পত্রিকার প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ হলেই দেখা যাবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সে সংবাদপত্রটির হস্তক্ষেপ করে পত্রিকাটি বাতিল করা হবে। কাজেই সংসদ সদস্য হিসেবে এই প্রক্রিয়ার বিরোধীতা করে তথ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য তথ্যমন্ত্রীর অনেক অবদান রয়েছে। আমাদের বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসনের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। কাজেই জেলা প্রশাসকের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে আর কণ্ঠরোধ করা যাবে না। আমি এর তীব্র বিরোধীতা করছি।