সুনামগঞ্জ টেকেরে ঘাটের লাইম স্টোন মাইনিং ফ্যাক্টরীর জবর দখলকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ’র (সুনামগঞ্জ-৪) এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আজ জাতীয় সংসদে তিনি এ আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী পীর মিসবাহকে মিলটির বিষয়ে একটি ডিও লেটার দেওয়ারও আহবান জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্পূরক প্রশ্ন করার জন্য পীর ফজলুর রহমানকে ফ্লোর দেন। ফ্লোর পেয়ে পীর মিসবাহ প্রথমেই সুনামগঞ্জের টেকেরঘাটে বিসিআইসির যৌথ উদ্যোগে ক্লিংকার ফ্যাক্টরী স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এক সময় টেকেরঘাট লাইম স্টোন মাইনিং ফ্যাক্টরীতে পাথর ক্রাস করে তা ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে পাঠানো হতো। কিন্তু এখন তারা বিদেশ থেকে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানী করায় ফ্যক্টরীটি বন্ধ রয়েছে। আর এই সুযোগে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা ফ্যাক্টরীর অনেক জায়গা জবর দখল করে নিয়েছে। ফ্যাক্টরীর মেশিনারিজ খুলে নেওয়া হচেছ। মিলটিকে রক্ষা করতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে কীনা জানতে চান তিনি।
৫টি উপজেলায় শিল্পনগরী
বেগম সানজিদা খানমের অপর প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরী স্থাপনের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ৫টি উপজেলায় (মিরসরাই, শ্রীমঙ্গল,ভৈরব,কুমারখালী এবং গজারিয়া (এপিআই শিল্পপার্ক) শিল্পনগরী স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া শিল্প মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলায় ৭৪টি বিসিক শিল্পনগরী বাস্তবায়ন করেছে। অবশিষ্ট ৬টি জেলার মধ্যে ৩টি (ঝালকাটি,বরগুনা,ও চুয়াডাঙ্গা) জেলায় শিল্পনগরী স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বেগম সালমা ইসলামের (ঢাকা-১) অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ৫ বছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বিসিআইসি যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছে, এরমধ্যে রয়েছে, ১. নর্থ-ওয়েষ্ট ফার্টিলাইজার প্রকল্প। ২. ইউরিয়া সার কারখানা লি: এবং পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা লি: এর খালি জায়গায় অত্যাধুনিক, শক্তি সাশ্রয়ী উচ্চতর উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের জন্য প্রকল্প অনুমোধনের অপেক্ষায় আছে। ৩. ট্যাকের ঘাট লাইম স্টোন মাইনিং প্রজেক্ট এর খালি জায়গায় বিসিআইসি’র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ ক্লিংকার ফ্যাক্টরী স্থাপন প্রকল্প। প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে তিন বছর সময় লাগবে। ৪. বাস্তবায়নাধীন শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্প। এই প্রতিষ্টানটি আগামী বছর এর মাঝামাঝি সময় উৎপাদন যাবে। এই প্রকল্পগুলো অনুমোদিত হলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।