ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বাকশপোতা গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সকালে হাসান আলী (১৫) নামে স্কুলছাত্রের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাসান আলী নেপা ইউনিয়নের বাকশপোতা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ও খোসালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
নিহতের পরিবারের দাবি, বিএসএফের গুলিতে হাসান মারা গেছে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএসএফের গুলিতে মারা যাওয়ার কোন আলামত পাননি তারা।
নিহতর চাচা ইউসুফ আলী জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে খোলাসপুর সীমান্ত দিয়ে দিয়ে হাসান আলীসহ আরও কয়েকজন গরু আনার জন্য ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছিল। এসময় সীমান্তের ৭৯নং মেইন পিলারের কাছে পৌঁছালে টহলরত ভারতের কুমারিঘাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে হাসান আলী গুলিবিদ্ধ হয়। সঙ্গে থাকা সহযোগীরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগরে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। ভোরে হাসানের সহযোগীরা তার লাশ ঘাড়ে করে গ্রামে নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানান, হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে হাসান ক্লাসের বই কেনার টাকা জোগাড় করতে এর আগেও একবার ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল। খোসালপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আজগার ও সালামের রাখাল হিসেবে সে ভারতে যেত।
মহেশপুর থানার ওসি সাইদুল ইসলাম শাহিন জানান, বুধবার গভীর রাতে বিএসএফের গুলিতে হাসান নামে এক কিশোর নিহতের কথা গ্রামবাসী পুলিশকে জানিয়েছে। তবে কিভাবে হাসান মারা গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল এস এম মনিরুজ্জামানের জানান, বিএসএফের গুলিতে ওই স্কুলছাত্র নিহত হয়নি। অন্য কোন ঘটনা থাকতে পারে। তিনি জানান, একটি গুলিতে নিহত স্কুলছাত্রের মাথার একপাশের খুলি গুলিতে উড়ে গেছে। গুলিটি দেখে বিএসএফের গুলি মনে হয়নি। অন্য সব আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিএসএফের গুলিতে সে নিহত হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ এপ্রিল, ২০১৫/ রশিদা