চট্রগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বেঙ্গুরা এলাকায় রেলসেতু ভেঙে তেলবাহী ওয়াগন খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দিলেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক।
রবিবার দুপুরে দশম জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে এই বিবৃতি দেন তিনি। উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করে ট্রেন যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে আর তিন দিন সময় লাগবে বলে বিবৃতিতে জানান তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, 'ইতিমধ্যে সেতুটির অস্থায়ী কাঠামো পুনর্নির্মাণের জন্য সিসি ক্রিব, জয়েস্ট, স্লিপার, রেল ও অন্যান্য সামগ্রী ব্রিজের পাশে আনা হয়েছে। অস্থায়ী কাঠামো হতে ওয়াগন সরানোর পরপরই অস্থায়ী কাঠামোর পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে অস্থায়ী কাঠামোর পুনর্নির্মাণের কাজ চলমান। অস্থায়ী কাঠামো এবং এর ওপর রেলপথ পুনর্নির্মাণের পর লাইনচ্যুত ইঞ্জিন এবং ভূমিতে থাকা ওয়াগনসমূহ উদ্ধার করা হবে। উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করে ট্রেন যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে আর তিন দিন সময় লাগবে।'
তিনি আরো বলেন, 'দুর্ঘটনাস্থল সেতুর ওপর হওয়ায় রেল যোগাযোগ পুনরায় স্থাপন ও উদ্ধার কার্যক্রমে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'ইতিমধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেতুটির দুটি অ্যাবটিমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেশ কিছুদিন যাবৎ অস্থায়ী কাঠামোর ওপর দিয়ে সীমিত গতিতে ট্রেন চলাচল করছিল।'
তিনি বলেন, 'দুর্ঘটনায় পতিত ট্যাংক ওয়াগন নং বিটিকে-৬০০০১, বিটিকে-৬০২৪৬ ও বিটিকে-৬০১৯২ হতে কিছু ফার্নেস অয়েল খালের পানিতে পড়ে যায়। খালের পানিতে পড়ে যাওয়া তেল যাতে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে তেল অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই কিছু তেল আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে, যা অপসারণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।'
রেলমন্ত্রী আরো বলেন, 'দুর্ঘটনার পর পরই দায়িত্বে অবহেলার জন্য সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম ও ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) আকবর আহমেদ ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য চিফ মেকানিক্যালের (পূর্ব) নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রামকে আহ্বায়ক করে আর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুটি পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। রিপোর্ট পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
বিডি-প্রতিদিন/২১ জুন ২০১৫/ এস আহমেদ