অপরাধী শনাক্ত করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহারের সুযোগ দিতে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, "অপরাধীদের শনাক্ত করা এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ, মানবপাচার রোধসহ বিভিন্ন ধরনের জাল জালিয়াতি রোধে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাইয়ে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ভূমিকা রাখবে, যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা দপ্তর দ্রুতই তথ্য ভাণ্ডারের অন্তত একডজন তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ পাবে।" খবর বিডি নিউজের।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ দুটি সংস্থার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পাসপোর্ট অধিদপ্তর বর্তমানে একই ধরনের চুক্তিতে ইসির তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করছে। নাগরিকদের তথ্য নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে পুলিশের দেওয়া আবেদনে বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত করা, অপরাধ তদন্ত, ব্যক্তির স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা যাচাই, বিদেশযাত্রা, আসামির বিদেশযাত্রা রোধ, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও মানবপাচার রোধসহ যাবতীয় কার্যক্রমে নাগরিকদের পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করা হবে।
র্যাবের আবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন অপরাধীদের শনাক্ত করা ও ফৌজদারি মামলা তদন্তের প্রয়োজনে র্যাবের ক্রিমিনাল ডেটাবেইজে অপরাধীদের তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। এর সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য মিলিয়ে অপরাধী শনাক্ত করা হবে।
দেশের ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি ভোটারের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে ইসির তথ্য ভাণ্ডারে। এতে প্রত্যেক ভোটারদের নাম, ঠিকানা, পিতা-মাতা, জন্ম তারিখ, পেশা, শিক্ষা, পাসপোর্ট ও টিআইএন নম্বর, আঙ্গুলের ছাপসহ ৩০টির বেশি তথ্য রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে এর মধ্যে অন্তত ১৬টি তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ জুন, ২০১৫/ রশিদা