ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলে যৌথ জরিপে জানা গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে গত ৭ দিনেও কেউ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাননি। শনিবার রাতে বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফিরে রবিবার সকালে এমনটাই সাংবাদিকদের জানালেন বাংলাদেশি পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ও রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিনু শীল।
এর আগে ৮ জুলাই বাংলাদেশি পর্যবেক্ষক দলটি ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহলের চলমান যৌথ জরিপ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে যান। পর্যবেক্ষণ শেষে জানতে পারেন ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশি ছিটমহলের কোন বাসিন্দাই বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাননি।
জানা যায়, বাংলাদেশের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলটি গিয়ে চারভাগে ভাগ হয়ে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা, মেখলিগঞ্জসহ বিভিন্ন মহকুমা ও থানা এলাকার মধ্যে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলের জরিপ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্ব দেন রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিনু শীল।
এছাড়া তার সঙ্গে ছিলেন কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম আবু হোরায়রা, রংপুরের জোনাল সেটেলম্যান্ট অফিসার আব্দুল মান্নান, লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মোতালেব, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহম্মদ মাহমুদুল আলম, পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ শাহ-সাত আন্দালিব, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর যুগ্ম পরিচালক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, রংপুর ডিআইজি অফিসের অতিরক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ জামান আশরাফ।
দেশে ফিরে প্রতিনিধি দলের প্রধান ও রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিনু শীল সাংবাদিকদের জানান, সেখানে সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই যৌথ জরিপ কার্যক্রম চলছে। জরিপে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশি জরিপকারীদেরও দেশটির সরকার সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা দিচ্ছে। এছাড়া গত ৭ দিনেও বাংলাদেশি ছিটমহলগুলো থেকে দেশের মূল ভূখন্ডে আসতে চান এমন কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে ওইসব মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের মাধ্যমে সেদেশে থেকে যাবেন বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুলাই, ২০১৫/মাহবুব