সবার কাছে মামা হিসেবে পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শহীদুল হককে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
দেশে ফেরার পর মিরপুর কাজীপাড়ার জামে মসজিদে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে বাদ জোহর তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তি ও সংগঠকদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শেষবারের মতো সিক্ত হন একাত্তরে মামা বাহিনীর প্রধান এই মুক্তিযোদ্ধা।
কাতারের রাজধানী দোহার একটি হাসপাতালে শুক্রবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শহীদুল হক। এরপর মঙ্গলবার ভোরে তার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌছলে প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমঘরে রাখা হয়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বে যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মুক্তিযুদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী মাহবুবের নেতৃত্বে গার্ড অব অনারের পর মুক্তিযোদ্ধারা জহির উদ্দিন জালাল ওরফে বিচ্ছু জালালের নেতৃত্বে আরেক দফা গার্ড অব অনার দেন। এরপর সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি সমাজ ও সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তি ও সংগঠকদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হন মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক।
বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শহীদুল হকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখান জানাজা শেষে মিরপুর কাজীপাড়ার জামে মসজিদে আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ জোহর শহিদুল মামার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব