গতকাল সোমবার দশম সংসদের চার বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত এবং ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি।
দশম সংসদের চার বছরে বড় ধরনের কূটনৈতিক সফলতা অর্জনের বিষয়টি সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। জাতীয় সংসদের উদ্যোগে ঢাকায় সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোর বৃহত্তর দুটি সংগঠন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলন হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ায় সংসদের সবাই একই সুরে প্রশংসা করেছে। সংসদে সর্বসম্মত ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, গত চার বছরের ১৯ অধিবেশনে বৈঠক হয়েছে ৩২৮ দিন। এর মধ্যে সবচেয়ে লম্বা অধিবেশন ছিল প্রথমটি। ৩৬ কার্যদিবসের এই অধিবেশন শেষ হয় ১০ এপ্রিল। আর সব থেকে ছোট অধিবেশন ছিল মাত্র ৫ কার্যদিবসের- ১৫ ও ১৭তম অধিবেশন।
গত ৭ জানুয়ারি ১৯তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অধিবেশনেই দেশের নতুন ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই সংসদে এ পর্যন্ত ১২৮টি আইন পাস হয়েছে। বিল পাস, প্রশ্নোত্তরসহ অন্যান্য ইস্যুতেও সক্রিয় ছিলেন সংসদ সদস্যরা। সর্বশেষ ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট পাস করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই সংসদ।
এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান জাতীয় সংসদ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কার্যকর। এই সংসদের রেকর্ড সংখ্যক আইন পাসের পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধী দলও ভূমিকা রাখছে। তাদের সহযোগিতায় দেশে দুটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসী স্বচক্ষে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিসহ অন্যান্য বিষয় দেখার সুযোগ পেয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে অনন্য সম্মান।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন