১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ১৫:১৩

কাদেরের উদ্যোগেই মুক্তি পেলেন তার ছবি বিকৃতিকারী রুমি!

রফিকুল ইসলাম রনি

কাদেরের উদ্যোগেই মুক্তি পেলেন তার ছবি বিকৃতিকারী রুমি!

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মহানুভবতায় মুক্তি পেল তার ছবি বিকৃতি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া রুমি আক্তার (৪০)। 

মুক্তি পাওয়া রুমি আক্তার শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন সরকারের মেয়ে।

সম্প্রতি কে বা কারা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের একটি ছবি  বিকৃতি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ওই ছবিটা গত সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুমি আক্তার (৪০)।  

এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মজিবর রহমান সোমবার রাতে রুমির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, রুমি আক্তার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি বিকৃত করে তার ফেসবুকে পোস্ট দেন। এতে মন্ত্রীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং বাদীসহ অন্যরা মর্মাহত হয়েছেন। 

এতে ঝিনাইগাতী পুলিশ রাতেই রুমি আক্তারকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতে হাজির করে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। 

বিষয়টি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নজরে আসলে ঘটনাটি তিনি খতিয়ে দেখেন। এতে রুমির সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি পাওয়া যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি শেরপুর পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে বলেন। ফলে দ্রুত পুলিশ রুমির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুমিনুন্নিছা খানম পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে (রুমি) জামিনের আদেশ  দেন। ফলে কাদেরের হস্তক্ষেপে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ থেকে রক্ষা পেলেন রুমি। 

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসার পর দেখলাম, মেয়েটি আমার ছবি বিকৃতি করেনি। অন্য কারো ফেসবুক পেজ থেকে সে শুধু মাত্র শেয়ার করেছে। সে কারণে আমি পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। মেয়েটিকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে বলেছি। পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য। কোনো নিরপরাধ লোক এ আইনে শাস্তি পাবে না। অপরাধী যে তার উপযুক্ত শাস্তি হবেই। কেউ যেন এই আইনের অপপ্রয়োগ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সবাইকে।’

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর