জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে প্রচার সংখ্যায় শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রেখেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। গত চার বছর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে জাতীয় এ দৈনিকটি। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশে মোট প্রকাশিত পত্রিকার সংখ্যা ২ হাজার ৬৫৪টি। এর মধ্যে দৈনিক ১ হাজার ২৪৮, সাপ্তাহিক ১ হাজার ১৯২ এবং পাক্ষিক পত্রিকার সংখ্যা ২১৪টি। দৈনিক প্রকাশিত পত্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী ঢাকা হতে প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এই পত্রিকার প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৩ হাজার।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নবম ওয়েজবোর্ড গঠন এবং সকল সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নবম ওয়েজবোর্ড ইতোমধ্যে রিপোর্ট প্রদান করেছে। অচিরেই নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সারাদেশের সাংবাদিকদের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে বলে আশা করা যায়।
তথ্যমন্ত্রী জানান, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহের অধিকার সুরক্ষারে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইতোমধ্যে সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের চেতনায় দেশে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সকল শাখা ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেক সাংবাদিককে আর্থিক ও চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, সংবাদপত্র ও ইলেকট্টনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের চাকুরি সুরক্ষার জন্য ’গণমাধ্যমকর্মী (চাকুরি ও শর্তাবলী) আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। গত বছরের ১৫ অক্টোবরে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এর নীতিগত অনুমোদন করা হয়। উভয় আইনের ভোটিং-এর জন্য এখন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। আইন দুটি প্রণীত হলে সংবাদপত্রের পাশাপাশি ইলেকট্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের কর্মীদেরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও জানান, অসচ্ছল, অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিকদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯৬ জনকে সর্বমোট ১০ কোটি ৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। গত বছরের ৮ অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ডে সিড মানি হিসেবে ২০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে সর্বমোট ৩৫ কোটি টাকা সিড মানি রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম