রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন প্যানেল সম্মিতিল-ফোরাম। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিপুল ভোটে জয়ের পথে তিনি। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ভোট গণনা শুরু হয়।
এদিকে, ভোটগ্রহণ শেষে বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মোট ১৯৫৬ ভোটারের মধ্যে ১৪৯২ জন ভোট প্রদান করেছেন। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, রুবানা হক পূর্ণ প্যানেল নিয়ে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল স্বাধীনতা পরিষদের প্রধান জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ভোট উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে। রাজধানীর কাওরান বাজারের বিজিএমইএ ভবনে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএর পরিচালক পদের সংখ্যা ৩৫। সমসংখ্যক এই পদের বিপরীতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে চট্টগ্রামে শুধুমাত্র একটি প্যানেলের প্রার্থী থাকায় ঢাকায় ২৬ পরিচালক পদের বিপরীতে দুই প্যানেলের ৪৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। স্বাধীনতা পরিষদ চট্টগ্রামে প্রার্থী না দেয়ায় সেখানে সম্মিলিত ফোরামের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্মিলিত-ফোরামের প্রার্থীরা হলেন- হলেন রুবানা হক, এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির, আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এম এ রহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন,সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী,মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী, শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।
বিডি প্রতিদিন/০৬ এপ্রিল ২০১৯/আরাফাত