শনিবার ভোর ৬টার দিকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’।
এর আগে শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হানে এটি। লণ্ডভণ্ড করে দেয় সেখানকার পুরী, গোপালপুর ও ভুবনেশ্বরসহ বিভিন্ন অঞ্চল। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে শুধু ওড়িশায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৮জন।
এরপর উড়িষ্যা থেকে ‘ফণী’ ধাবিত হয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এই সময়ে ধীরে ধীরে শক্তি হারাতে থাকে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর বাংলাদেশে আঘাত হানে ‘ফণী’।
গত দুই দশকের মধ্যে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি ছিল প্রবল শক্তিশালী। আয়তনেও ছিল বড়। এমনকি এটির আয়তন বাংলাদেশের মোট আয়তনের চেয়েও বেশি ছিল। ‘ফণী’র মোট আয়তন ছিল প্রায় দেড় লাখ বর্গকিলোমিটার।
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বিষুবরেখার খুব কাছে সৃষ্টি হওয়ায় এটি ছিল প্রবল শক্তিশালী এবং এর আয়তনও ছিল বড়। এর আয়তন ছিল প্রায় দেড় লাখ বর্গকিলোমিটার। দীর্ঘ পথ ও সময় ধরে ভারত ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোনোর ফলে ঘূর্ণিঝড়টির মধ্যে বিপুল পরিমাণে জলীয় বাষ্প সঞ্চিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম