১৮ জুন, ২০১৯ ২০:৫২

রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। 

জবাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলেও অবকাঠামো ও প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত পিডব্লিউডির মাধ্যমে। ফলে সেখানে তদারকি করার অধিকার আমাদের নেই। 

এসময় কমিটিকে আরো জানানো হয়, প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়ে দু’টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেই প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া এ বিষয়ে আদালতে দুটি মামলা হয়েছে। আদালতের রায় পেলে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।

সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, কমিটির সভাপতি  আ ফ ম. রূহুল হক, কমিটির সদস্য ইকবালুর রহিম, হাবিবে মিল্লাত, মোজাফ্ফর হোসেন, শিরীন আহমেদ, সেলিমা আহমাদ এবং হাবিবা রহমান খান বৈঠকে অংশ নেন। বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগ দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

বৈঠক সূত্র জানায়, রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কেনাকাটায় দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। কমিটির সদস্য হাবিবে মিল্লাত এ বিষয়টি বৈঠকে উত্থাপন করে বলেন, একটি বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা উঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা কীভাবে হয়?  কমিটির সভাপতি আ ফ ম রূহুল হক এ বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত বিজ্ঞান মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চান। 

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য ২১টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা ওইসব ভবনে থাকবেন। এসব ভবন নির্মাণের কাজ করছে গণপূর্ত বিভাগ। তারা তাদের মত করে কাজ করছে। বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় শুধু প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিচ্ছে। তখন কমিটি প্রশ্ন রাখে, গণপূর্ত নিজেদের ইচ্ছামত খরচ করবে আর বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় তদারক করবে না? জবাবে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি তদারক করতে হলে আলাদা প্রকৌশল বিভাগ প্রয়োজন হবে, সেটা নেই। 

তাছাড়া পূর্ত বিভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠান, এখানে তাদের কাজ সেভাবে তদারক করার সুযোগও নেই। এই কাজ তারা করছে, কোনো ধরনের অডিট আপত্তি এলে তার জবাবও পূর্ত বিভাগকে দিতে হবে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর