নির্বাচন ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এতে তিন কোটি টাকার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) প্রায় চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোখলেছুর রহমান বলেন, যেখানে ইভিএম কাস্টমাইজড হয়ে থাকে, সেই জায়গাটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পেরেছি ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে ধোঁয়া দৃশ্যমান হয়। তাৎক্ষণিকভাবে যারা ছিলেন, তারা ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারে ফোন করেন। পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশন থেকে তারা প্রথমে এখানে আসেন এবং পরে ছয়টি ইউনিট আধা ঘণ্টার মধ্যে, ১২টার আগেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। সেদিন রাতেই ফায়ার সার্ভিসের ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।
ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট ৫৯টি, ব্যাটারি ৪৭টি, ব্যালট ৭৮৯টি, মনিটর এক হাজার ২৩৩টি, ক্যাবল ৫৫৭ সেট, মনিটরের ব্যাটারি ৬৪টি, ল্যাপটপ একটি ও বার কোড স্ক্যানার দুইটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইভিএম সামগ্রীর আনুমানিক মূল্য তিন কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৩ টাকা। অন্যান্য কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রীও ছিল, তার মধ্যে এসি ছিল নয়টি, সিলিং লাইন ৪৮টি, একটি প্রজেক্টর, হুইল চেয়ার ও অটবি চেয়ার ১৬টি, টেবিল তিনটি, ঘড়ি একটি, সুইচ বোর্ড ১৪টি, বিভিন্ন রকমের নয়টি প্লাগ, ওয়্যারিং চ্যানেল দুই হাজার ফিট, ফ্লোর টাইলস ৫০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মূল্য ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৭০০ টাকা। আর পূর্ত ক্ষতি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৬ টাকা। ইভিএমসহ সবমিলে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯/আরাফাত