উপাচার্য বা ভিসির পদের চেয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান হওয়াকে কেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান।
শনিবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশ বছর ধরে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে আছি। আমি এখনও যুবলীগের এক নম্বর সহ-সভাপতি। তবে আমি ভিসি হওয়ার পর থেকে যুবলীগের কোনও মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করিনি। এখন এই সংকটপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে যুবলীগের দায়িত্ব দিলে নেব।’
প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান গত শুক্রবার রাত ১১টায় বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে টক শোতে এমন ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
টক শোতে যুবলীগের প্রসঙ্গ উঠলে ড. মীজানুর আরও বলেন, ‘আমাকে যদি বলা হয়, আপনি যুবলীগের দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা; তবে আমি সঙ্গে সঙ্গে ভিসির পদ থেকে সরে যাব এবং যুবলীগের দায়িত্ব নেব।’
এ বিষয়ে জবি ভিসি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আমার ভিসি পদ ছেড়ে যুবলীগের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়ে আসছে সেখানে ভুল-বোঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে। মূলত একসঙ্গে দুটি কাজ না করার বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে যুবলীগের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছি। রবিবার গণভবনে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে বৈঠক রয়েছে তাতেও আমি অংশ নেব না।’
তিনি বলেন, ‘মার্জিত, শিক্ষিত লোকরা রাজনীতিতে না এলে অযোগ্যরাই তাদের শাসক হয়ে বসবে। যোগ্যদের জন্য এটি প্রাকৃতিক শাস্তি। টেন্ডারবাজি, ক্যাসিনোসহ নানা দুর্নীতিতে যুবলীগের ১ শতাংশ জড়িত। বাকি যে লাখ লাখ নেতাকর্মী আছেন, যাঁরা করার মতো কোনো কাজই পাননি, তাঁদের সহযোগিতায় দেশ গড়ার দায়িত্ব পেলে আমি সেই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী।’
এদিকে শনিবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজটোয়েন্টিফোরে এক টক শোতে ভিসি মীজানুর রহমান বলেন, ‘রাজনীতি যদি চোর-বাটপারদের জায়গা হয় তবে আমাদের শাস্তি হলো চোর-বাটপারদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা ছড়ানো হচ্ছে। আমি সেদিন (অন্য এক টক শোতে) বলেছি, যে সংগঠনকে ভালোবাসি সে সংগঠন দুর্দশায় পড়বে, সেটা মানতে পারছি না। মাননীয় নেত্রী আমাকে দুর্দশাগ্রস্ত যুবলীগকে অসহায় অবস্থা থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব দিলে আমি দুটি কাজ একসঙ্গে করব না। সে ক্ষেত্রে আমি যুবলীগের দায়িত্ব নেওয়ার আগে উপাচার্যের দায়িত্ব ছেড়ে দেব। এমন কথায় কেন সবাই হতাশায় ডুবছে সেটা আমার মাথায় আসছে না।’
বিডি প্রতিদিন/কালাম