গত ষোল বছরেও বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের ১৬০ কর্মকর্তার কোনো পদোন্নতি হয়নি। বাংলাদেশ বেতারে নিয়োজিত এসব কর্মকর্তারা সরকারি চাকরির কর্মজীবনে আর পদোন্নতি পাবেন কী-না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। এ সংশয় কাটাতে এ বিষয়ে সুপারনিউমারারি পদোন্নতির মাধ্যমে দীর্ঘ পদোন্নতি জট নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে একটি অনুরোধপত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া আবাসিক এলাকার টেলিভিশন সেটের ওপর আগের মতো লাইসেন্স ফি আরোপের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি প্রস্তাব কমিটির বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
সংসদে ভবনে সোমবার অনুষ্ঠিত তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৪র্থ বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, বিশেষ আমন্ত্রণে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, কাজী কেরামত আলী, আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), খঃ মমতা হেনা লাভলী, সালমা চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।
তথ্য ক্যাডারের আবেদন সূত্রে জানা যায়, ১৮ ব্যাচের বিশেষ তথ্য ক্যডারের কর্মকর্তারা ১৫ বছর যাবৎ উপপরিচালক হিসেবেই কাজ করছেন। ১০ বছর ধরে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন অন্য ব্যাচের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে হতাশা নেমে এসেছে কর্মকর্তাদের মাঝে। এজন্য বৈঠকে তথ্য মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে সুপারিশ করা হয়।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাথে সরকারি বেসরকারি টেলিভিশনের সংযোগ স্থাপনের পর সম্প্রচারের ক্ষেত্রে দেশি চ্যানেলসমূহকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম