সংসদে উত্থাপিত কাস্টমস বিল, ২০১৯ অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হলেও কমিটির সদস্যরা সংসদে পেশের জন্য বিলটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে পারে নি। কমিটির বৈঠকে আইনমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে বিলটি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী। কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কাজী নাবিল আহমেদ, আবুল কালাম মো: আহসানুল হক চৌধুরী. আহমেদ ফিরোজ কবির ও রুমানা আলী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে 'কাস্টমস আইন ২০১৯' শীর্ষক বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়। বিলে চোরাচালান নিরোধে কাস্টমস কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা, গৃহ তল্লাশি ও আটকের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা বা চোরাচালানের মাধ্যমে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির চেষ্টা করলে উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্ত করাসহ সর্বোচ্চ ৬ বছরের কারদন্ডের পাশাপাশি দুই থেকে তিনগুণ টাকা অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গৃহীত কার্যক্রম, লক্ষ্য ও চালেঞ্জ নিয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার