একদিকে চলার কারণে ট্রেনের চাকার নির্দিষ্ট জায়গা ক্ষয়রোধে অনিবার্য কারণবশত পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের পাঁচটি আন্তনগর ট্রেন দিক পরিবর্তন করে উল্টো দিকে চলাচল করে। এজন্য ভ্রমণপ্রিয় ট্রেন যাত্রীদের আতঙ্কিত না হয়ে ট্রেনে বসে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
পাকশি বিভাগীয় দপ্তরের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেনে থাকা যাত্রীরা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য প্রতিটি স্টেশনেই মাংকিং করে যাত্রীদের সতর্ক থাকতে বলা হবে।
পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার ৭৬৫ নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাটমোহর অতিক্রম করার পর ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে চিলাহাটির উদ্দেশে না গিয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ঢুকে পড়ে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৬৪ চিত্রা এক্সপ্রেস চাটমোহর স্টেশন ছাড়ার পর ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে না গিয়ে ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে ঈশ্বরদী আসবে। মঙ্গলবার ৭৬৯ ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাটমোহর স্টেশন অতিক্রম করে রাজশাহী না গিয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন হয়ে রাজশাহী যাবে। ৭২৬ সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে চাটমোহর স্টেশন অতিক্রম করে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে না ঢুকে ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে ঈশ্বরদী আসবে। ৭৯৬ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর চাটমোহর স্টেশন অতিক্রম করে ঈশ্বরদী জংশনে প্রবেশ না করে ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে ঈশ্বরদী আসবে।
শুধুমাত্র ট্রেনের বগি (রেখ) কম্পোজিশন পুনর্বিন্যাসের জন্য এমনটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় দপ্তরের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক। তিনি বলেন, ট্রেনটির মুখ ঘোরানোর জন্য ২-৩ বছর পর পর এটা করতে হয়।
এজন্য ভ্রমণপ্রিয় ট্রেন যাত্রীদের বিভ্রান্ত না হয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিআরএম আসাদুল হক। তিনি বলেন, কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বা রেল লাইনে সমস্যা হয়েছে এমন গুজবে কোনো যাত্রী কান দেবেন না। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন রুটের চিলাহাটি-রাজশাহী-খুলনা-বেনাপোল অভিমুখে যাওয়া পাঁচটি আন্তনগর ট্রেন নির্দিষ্ট স্টেশনে না এসে দিক পরিবর্তন করে উল্টো স্টেশনের দিকে চলে যাবে। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অনেকেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এ ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, একদিকে চলার কারণে ট্রেনের চাকার নির্দিষ্ট জায়গা ক্ষয় হয়ে যায়। তবে কোচের দিক পরিবর্তন হলে ট্রেনের চাকার ক্ষয় পূরণ হয়ে যায়। এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব