দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণে আলুর বাম্পার ফলন বা উৎপাদন হয়, তাতে প্রতিকেজির দাম ১০ টাকা হওয়ায় উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। আর আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নজরদারি চান বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোশাররফ হোসেন।
শনিবার অনলাইনে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস টকে অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন এই দুই ব্যবসায়ী নেতা। ‘আলুর স্থায়ী স্বস্তির উপায় কী?’ শীর্ষক বাংলাদেশ প্রতিদিন বিজনেস টকের সঞ্চালনা করেন শামীমা দোলা।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস টকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা লাভ করবেন, তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণে অতীতে যতো সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা কার্যকর হলেও, এবার আলুর দাম নির্ধারণের বিষয়টি কার্যকর হয়নি। তিনি বলেন- প্রতিবছর আলুর দাম এক রকম থাকে না। আর যেভাবে উৎপাদনের তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তাতে আলুর দাম প্রতিকেজি ১০ টাকা হওয়া উচিত। এ জন্যে মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয় দরকার।বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন- ভোক্তার নাগালে দাম রাখতে আলুর মূল্য কমাতে একমত হয়েছি। যদি কোন কোল্ড স্টোরেজ নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি না করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তবে আলুর সমস্যা গত ২০ থেকে ৩০ বছরে হয়নি। আমরা সরকারি নজরদারিতে আলুর নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
তারমতে- কোল্ড স্টোরেজ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এজন্যে মনিটরিং সেল থাকা দরকার। গত ১০ বছরে কৃষকরা আলুর ন্যয্য মূল্য পায়নি। তবে এ বছর আলুর দাম পাওয়ায় আগামীতে বেশি উৎপাদন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল