বিএনপির অগ্রযাত্রা কোনো পরিস্থিতিতে আর ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, একদিন ইনশাল্লাহ গুলির আওয়াজ থাকবে না, পিস্তলও থাকবে না। জনগণের চাপের মুখে এই সরকারের পতন ঘটতেই হবে। যোগ্য নেতাদের যোগ্য জায়গায় স্থান দিতে পারলে ইনশাল্লাহ এই দল আবারো সুদূঢ় হয়ে উঠে দাঁড়াবে। এই সরকারের বিপক্ষে আমরা লড়তে পারবো।
আজ বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, করোনা পরিস্থিতি সরকারের জন্য একটা শাপে বর হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির কথা বলে আমাদেরকে তারা সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। হয়ত অন্যরকম হয়ে যেতে পারতো এই কয়েকদিনে। এই করোনা সংক্রমণ নিয়েও এই সরকার দেশের মানুষগুলোকে নিয়ে এই সরকার খেলাধুলো করছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার দুর্গতির চরম সীমায় পৌছে গেছে। আমরা যে যেখানে থাকি না কেনো আমাদের ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াটুকু আপাতত বন্ধ রেখে আমরা নেতৃত্বের দিক নির্দেশনাগুলো যদি সাহসের সঙ্গে রাজপথে দৃশ্যমান করতে পারি তাহলেই এই সরকার আর বেশি সময় টিকে থাকতে পারবে না। এখন বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার হটানোর যে স্বীকৃতি জনগণের কাছে আপনারা চান কি না? যদি চান তাহলে দায়িত্বশীল দল হিসেবে জনগণের আকাঙ্খার সঙ্গে একাত্মতাবোধ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা ধাক্কা দেন, সরকার পড়ে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন