বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, চলতি মাসে আরও কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত আমরা গ্রাহকদের টাকা ওয়ানওয়ে গ্রাহকদের কাছে ফেরত দেবো।
তিনি বলেন, অন্ততপক্ষে আমরা একটা বেইজলাইন ঠিক করেছি, যেটা হলো- গ্রাহতদের টাকা, শুধু গ্রাহকদের কাছে ফেরত যাবে। কোনো পেমেন্ট গেটওয়েতে যদি অপারেটরের টাকা আটকে থাকে বা তারা পণ্য ডেলিভারি দিয়েছে অথচ টাকা আটকে আছে। সে টাকা অপারেটর পাবে। তবে সে বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেবো। আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত এটা যে, প্রথমে আমরা গ্রাহকদের টাকা ওয়ানওয়ে গ্রাহকদের কাছে ফেরত দেবো। আটকে থাকা টাকা আমরা এই মুহূর্তে অপারেটদের ফেরত দিচ্ছি না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসএল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আলেশা মার্টের গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে, আলেশা মার্টের ১০ গ্রাহকে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৬ টাকা হস্তান্তর করা হয়।
সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা আজকে যে টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করেছি সেখানে অন্ততপক্ষে ৭/৮ টি অপারেটরকে (ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান) চিহ্নিত করতে পেরেছি। তাদের এসএসএল শুধু না, আরো গেটওয়ে পেমেন্ট সিস্টেমে যে টাকাগুলো জমা আছে, সেগুলো আশা করছি এই মাস নাগাদ কিউকম এবং আলেশা মার্টের স্টাইলে আমরা ফেরত দিতে পারবো। এখানে সিআইডি আমাদের আজকে আশস্ত করেছে।
ই-ভ্যালি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ই-ভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট একটা পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছেন। সেই পর্ষদ কাজ করছে। এ বিষয়ে আসলে কিছু করার নেই। তবে হাইকোর্ট যদি আমাদের নির্দেশ দেন তাহলে আমরা কার্যক্রম নেবো। এজন্য প্রথমে হাইকোর্ট থেকে আগে নির্দেশনা আসতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ই-কমার্স নিয়ে যে রিফর্মগুলো করছি, ডিবিআইডি পলিসি সেক্ষেত্রে অন্য ই-কর্মাসের যে অবস্থা, সেখানে ইভ্যালি কিন্তু একই মর্যাদা পাবে। তারা ডিবিআইডি বা অন্য কোনো পলিসি রিফর্মের সুযোগ পাবে। এটা জেনারেল বিষয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক