চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করার হুঙ্কার দিয়েছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। অনতিবিলম্বে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে। চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, জাতীয় জয়নাল আবেদীন ফারুক, ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানি, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহদাত হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ইতিহাস বিকৃতি করেছে। তারা মানুষের মন থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলতে চায়। ইতিহাসের সত্য কথা বললে আওয়ামী লীগের গা জ্বলে। তাই আমাদের কালুরঘাট যেতে দেয়নি তারা।
মির্জা ফখরুলকে কালুরঘাট বেতারে যেতে বাধা:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে নগরীর বিপ্লবী উদ্যানের বিপ্লব স্তম্ভে ফুল দিয়ে কালুরঘাট বেতারে যাওয়ার পথে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় মির্জা ফখরুল গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ কর্তাদের সাথে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মী স্লোগান দিতে থাকেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছেন। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে যেতে পারেনি।
পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, বিএনপি’র নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল বিপ্লব উদ্যান এবং পলোগ্রাউন্ডে। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যাওয়ার কোন অনুমতি ছিল না। তাই ওখানে যেতে দেয়া হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত/হিমেল