ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকরা আহত হচ্ছেন উল্লেখ করে এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ এ আগত পাবনার গুণীজন সাংবাদিক রণেশ মৈত্র।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান মঞ্চে রণেশ মৈত্র তার অভিব্যক্তিতে বলেন, আমি সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে দেখেছি। এক সময় পাকিস্তানের নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধে রাজপথে মিছিল করেছি। কোনো জায়গায় ব্যর্থ হইনি। জেল খেটেছি প্রায় ১২ বছর। গোটা পাকিস্তান আমলের অধিকাংশ সময় আমি জেলে ছিলাম। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দেড় বছর জেল খেটেছি।
এ সময় তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদকে লক্ষ্য করে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। কারণ এই আইনের দ্বারা সাংবাদিকরা আহত হয়েছে। যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে, তাদের ছেলেরা এই আইন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং এই আইন থাকতে পারে না।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরা-আইসিসিবিতে আয়োজিত বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ আয়োজন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিষয়ে তিনি বলেন, এই ট্রাস্টের মিটিং বসানো নাকি দুরূহ ব্যাপার। আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তখন স্থানীয় জেলা প্রশাসক আমাকে একটি দরখাস্ত চাইলেন। সেই দরখাস্তে ডিসি রিকমেন্ড করেছেন। কিন্তু ট্রাস্ট থেকে আজ পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এটি আমাদের জন্য খারাপ অভিজ্ঞতা। এ সময় তিনি তথ্যমন্ত্রীকে এসব জটিলতা দূরীকরণের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বসুন্ধরা গ্রুপ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি বিরাট প্রতিষ্ঠান। বসুন্ধরার কারো সঙ্গে আমার পরিচয় না থাকলেও তারা আমাকে গুণীজন সংবর্ধনার জন্য নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ সময় তিনি বলেন, ষাটোর্ধ্ব যাদেরকে এখানে গুণীজন হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য শুনলে এটি একটি বিরাট বই আকারে প্রকাশ করা যেত। ৬৪ জেলা থেকে আগত গুণীজন সাংবাদিকরা একাধারে যেমন রাজনৈতিক প্রতিবেদন করেন, একইভাবে অপরাধ ও বিনোদনসহ নানা ধরনের প্রতিবেদন সংগ্রহ করেন। এ জাতীয় সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি নিজের মোবাইল দিয়ে এমনকি ক্যামেরা পরিচালনা করে ছবি তোলেন। মফস্বলে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের অনেক বড় ভূমিকা গণমাধ্যমে রয়েছে। এ সময় তিনি বসুন্ধরার এই উদ্যোগকে আগামী দিনে অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় তিনি ঢাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে মফস্বলে কাজ করা সাংবাদিকদের সুখ দুঃখে খবর রাখার অনুরোধ করেন।