সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে এই ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে সিলেট জেলা পুলিশ। গত ৩১ মে থেকে জেলার ১২টি উপজেলায় শুরু হয় এই ত্রাণ বিতরণ, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সিলেটের বন্যার্তদের জন্য আরও ৫ হাজার প্যাকেট এবং সুনামগঞ্জের জন্য ৫ হাজার প্যাকেট ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সিলেটের জন্য ৭ হাজার ও সুনামগঞ্জের জন্য ৩ হাজার প্যাকেট পাঠানো হয়। প্রথম দফায় পাঠানো ত্রাণ সিলেটে জেলা পুলিশ ও সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ শুরু হয়।
গত ৩১ মে বিয়ানীবাজার উপজেলার আটিটিলা গ্রামের বন্যার্তদের হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার তুলে দিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। ওই দিন থেকে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় একযোগে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশে বন্যা আক্রান্ত এলাকার অসহায় পরিবারের তালিকা করে প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। ত্রাণ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিলেট অফিসের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ্ দিদার আলম নোবেল।
এদিকে, আজ সিলেটে পৌঁছনো ৫ হাজার প্যাকেট ত্রাণ দু’একদিনের মধ্যে বিতরণ শুরু হবে। ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য নতুন আরও ৫ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ কার্যক্রমের প্রশংসা করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘সিলেটে এবছর অকাল বন্যায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি নামলেও এর ক্ষত রয়ে গেছে। অনেক গরীব অসহায় লোকজনের বাড়ি-ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন একদিকে ঘর মেরামত, অন্যদিকে খাবারের সংস্থান করা নিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এমতাবস্থায় বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে, তা দেশের অন্য শিল্প গ্রুপগুলোর জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। এভাবে দেশের শিল্প গ্রুপগুলো এগিয়ে আসলে অসহায়রা আরও উপকৃত হতো।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক