বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এখন সময় জনগণের। জনগণের দেশ, জনগণ বুঝে নেবে। গুম, খুন, মুদ্রাপাচার, নারী পাচার, ধর্ষণসহ সব অন্যায়-অত্যাচার ও দুর্নীতির সব কিছুর হিসাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেই আমরা ঘরে ফিরব। যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এখন শেখ হাসিনার সরকারের আর কিছু করার সুযোগ নেই।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি এবং গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি’র প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। সম্প্রতি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ৭ নভেম্বরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। কিন্তু সরকারের লোকজন বলতে চাইছে, এটা নাকি তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ক্ষমতাসীনদের বলব, বিএনপি কারও দেহত্যাগে বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগে।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপি খুন-খারাবিতে বিশ্বাস করে না। ৭ নভেম্বর হচ্ছে দেশপ্রেমিক জনতার একটি স্লোগান। এটি গণতন্ত্রকে মুক্ত করার স্লোগান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বলব, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আপনার নেত্রীকে মারার হুমকি দেব কেন? এই অভ্যাস আমাদের নেই, আপনাদের আছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, আন্দোলন করলে বেতন এক পয়সাও বাড়বে না। কী মজার জিনিস!
বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গেলে ছাত্রলীগ চট্টগ্রামে জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন