ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার গভীর রাতে সাতক্ষীরা উপকূল থেকে বরিশাল উপকূলে আঘাত করতে পারে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সিত্রাং এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকা, এর আশপাশের এলাকা, দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি এবং বাতাস দুটোই বাড়তে পারে।
দেশের মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত ও চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কী তা কি জানেন?
* নিরাপদ স্থানে অবস্থান বা আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া বা বিপদগ্রস্থ মানুষ সহায়তা করুন। কোনোভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না। পোষ্যদেরও বাড়ির ভিতর নিরাপদ স্থানে রেখে দিন। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, পরিচয় পত্র, রেডিও, শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, দিয়াশলাই, টর্চ লাইট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ সঙ্গে রাখতে হবে।
* পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট, টর্চ লাইটে চার্জ ফুল রাখুন। ব্যাকআপ হিসেবে মোমবাতি এবং লাইটার রাখা ভালো।
* প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর সুযোগ বেশি থাকে। স্যালাইন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।
* ভারি বর্ষণ, ঝড় হাওয়া, বজ্রপাত ইত্যাদি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় চলাকালে সাবধান থাকতে হবে ঘরের বাইরে চলাফেরায়। ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সচেতন থাকতে হবে।
* বাইরের চলাফেরার সময় বৈদ্যুতিক খাম্বা ও তার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়াও ঝড় বাতাসে উপড়ে যাওয়া গাছ, বৈদ্যুতিক খাম্বা এবং বাতাসে উড়ে আসতে পারে এমন যে কোনো বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত দেবেন না।
* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেখে আতঙ্কিত হবেন না। নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম থেকে সংবাদ জেনে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। বিপদে শান্ত থেকে সমাধানের চেষ্টা করাই আসল কাজ।
* দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন যাতে বাইরে থেকে ময়লা বা ভারী কিছু উড়ে এসে আঘাত করতে না পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএ