রাজধানীর বনানীতে আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন করলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। এর ফলে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর আবারও বাংলাদেশে মিশন চালু হলো আর্জেন্টিনার।
সোমবার ফুটবলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ সমর্থন ও ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস উদ্বোধন করলো আর্জেন্টিনা।
এ সময় আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো বলেন, আজ এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও তাদের সমর্থন আর্জেন্টিনার প্রতি অব্যাহত থাকবে।অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আজকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আজ তাদের দূতাবাস চালু করলো। দুই দেশের জন্যই এটি আনন্দের। পুনরায় বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করার জন্য আমি আর্জেন্টিনা সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আমি আন্তরিকভাবে একত্রে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।
প্রসঙ্গত, কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালেই আর্জেন্টিনা ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকায় আবার দূতাবাস খুলবে দেশটি। সে কথা রাখতেই তিন দিনের সফরে আজ সকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসেন।
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস ছিল না। দিল্লির আর্জেন্টিনার দূতাবাস থেকেই ঢাকার সঙ্গে দেশটি সম্পর্ক বজায় রাখে। একইভাবে আর্জেন্টিনায়ও বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস নেই।
এক সময়ে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার একটি কূটনৈতিক মিশন ছিল। ১৯৭৪ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার মিশন খোলা হয়। তবে ১৯৭৮ সালে সে মিশনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে দিল্লির আর্জেন্টিনার দূতাবাস থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে দেশটি। আর ১৯৯২ সালে সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দূতবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিন দিনের সফর শেষে আগামী ১ মার্চ ঢাকা থেকে বিদায় নেবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত