যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কেন তাদের এই স্যাংশন জানি না।’ তিনি বলেন, “আমার এটাই প্রশ্ন যে হঠাৎ কথা নাই বার্তা নেই তারা আমাদের উপর ভিসা স্যাংশন দিতে চাচ্ছে কি কারণে। যদি ভোটের অধিকার ও মানবাধিকারের কথা বলা হয়- আমরাই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে এই ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়, তার জন্য যত রকম সংস্কার দরকার সেটা আমরাই করেছি। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছি। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- এ স্লোগানতো আমার দেওয়া।”
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী কোনো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, সেটা র্যাব-পুলিশ যেটাই হোক- কেউ যদি কোনো রকম অন্যায় করে আমাদের দেশে কিন্তু তাদের বিচার হয়। এই বিচারে কিন্তু কেউ রেহায় পায় না। যেখানে এরকম বিচার হচ্ছে, সেখানে এই স্যাংশন কি কারণে। হঠাৎ এই ধরনের একটা স্যাংশন দেওয়ার যুক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আরও দিতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু আমার দেশের মানুষর যে অধিকার, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার শিক্ষা, চিকিৎসা সব মৌলিক অধিকার কিন্তু আমরা নিশ্চিত করেছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমি যে তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি সেটা থেকে ফিরে এসে তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পেরেছে? পৃথিবীর কোনো দেশ দেবে? তাদেরকে যদি চাইতে হয় তাহলে আবার আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আদালতের কাজে আমাদের হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যে তাকে বাসায় থাকার পারমিশন দিয়েছি সেটা আমাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তাকে আবার জেলে যেতে হবে এবং কোর্টে যেতে হবে। কোর্টের কাছে আবেদন করতে হবে। কোর্ট যদি রায় দেয় তখন সে যেতে পারবে। এটা হলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী এমন সময় এ কথা বললেন, যখন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে তার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেন। এ বিষয়ে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক