কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে এক পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত রুবি আক্তারের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাংগরা বাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ শিমুলসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পৃথক অভিযানে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংগরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল আকুবপুর ইউনিয়নের পীরকাশিমপুর গ্রামের মো. নাজিম উদ্দীন বাবুল এবং মো. সবির আহমেদ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা এ মামলার ১৮ ও ১৯ নম্বর আসামি। অন্যদিকে র্যাব-১১-এর পৃথক অভিযানে ঢাকা থেকে আরও ছয় আসামিকে আটক করার কথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ী গ্রামে মোবাইল ফোনসেট চুরি সন্দেহে স্থানীয়রা একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করেন। নিহতরা হলেন গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকী (২৯)। পরিবারের আর এক সদস্য রুমা আক্তার (২৮) গুরুতর আহত হন। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তবে স্থানীয়দের দাবি, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত এবং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। রুবি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভয়ে কেউ মুখ খুলত না। মোবাইল ফোন চুরি কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হলেও দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে এ সহিংসতার বিস্ফোরণ ঘটেছে।