১৯৭১ সালে বাংলাদেশে চালানো গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা ও ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরসহ ৭ দফা দাবিতে লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে সর্বস্তরের প্রবাসী বাঙালিরা। বৃহস্প্রতিবার বিকেলে সাউথ-ওয়েস্ট লন্ডনের ৩৪/৩৫ লোনডেস স্কায়ারে পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বাকি দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশে আটকে থাকা পাঁচ লাখ (বিহারী) পাকিস্তানি নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়া, তৎকালীন পাকিস্তানের অংশে থাকা বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা ফেরত, মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, পাকিস্তানের পৃষ্টপোষকতায় গড়ে উঠা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে দমন এবং বেলুচিস্থানে হত্যা নির্যাতন বন্ধ।
যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ যুক্তরাজ্য, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি ইউকে, গণজাগরণ মঞ্চ ইউকে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম রিসার্চ ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট কাউন্সিল ইউকে ও বিশ্ববাংলা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ ইউকের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অজয়ন্তা দেব ও ড. আনিছুর রহমান আনিছের যৌথ সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য বাসদের আহ্বায়ক গয়াছুর রহমান গয়াছ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি আলিমুজ্জামান, ওয়েস্ট লন্ডন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হাজী আব্দুল হান্নান, ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার, উদীচী যুক্তরাজ্যের সভাপতি হারুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা শাহ এনাম, কমরেড মশুদ আহমদ, নারী নেত্রী সৈয়দা নাজনিন সুলতানা শিখা, বাতিরুল হক সরদার, শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তিযোদ্ধা মিফতা ইসলাম, জাসদের রেদওয়ান খান, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রাহেলা শেখ, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনজুমানআরাা অঞ্জু, গণজাগরণ মঞ্চের সিনথিয়া আরেফিন, কামরুল হাসান তোষার, প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা মজুমদার মিয়া, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক, সিলেট সরকারী কলেজের সাবেক এজিএস মুক্তিযোদ্ধা শেখ আশরাফুজ্জামান, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সৈয়দ গোলাব আলী, সাবেক ছাত্র নেতা ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির সদস্য সায়েক আহমদ, সাবেক ছাত্র নেতা মাহবুবর রহমান খোকন, নিউহ্যাম আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
পরে সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী এবং অজয়ন্তা দেবরায়ের নেতৃত্বে পাকিস্তান হাই কমিশন বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন পাকিস্তান হাইকশিনের ফাস্ট সেক্রেটারি আসিফ খান ও ঈয়াকুব রাজা ।
বিডি প্রতিদিন/২৪ মার্চ ২০১৮/এনায়েত করিম