গত বছরের ১১ মার্চ ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের জন্য প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদে গৃহীত হওয়ার পর থেকেই জাতীয়ভাবে এ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এবং দেশের মতো বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ মার্চ ২০১৮ রবিবার বিকাল ০৫টায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারী ভবন প্রাঙ্গনে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মোঃ সাইদুল ইসলাম মুকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মুহাঃ শহীদুল ইসলাম।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন ও পরে উপস্থিত সকলকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ডিফেন্স উইং এয়ার কমডোর হুমায়ুন কবির ও মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ।
এসময় ২৫শে মার্চ ১৯৭১ সেই ভয়াল কালো রাতের স্মৃতি বর্ণনা করেন দূতাবাসের পলিটিক্যাল মিনিস্টার রইস হাসান সরোয়ার ।
রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন ২৫শে মার্চ কালো রাত্রিতে বর্বর পাকিস্তানি হানানদার বাহিনী কাপুরুষের মত নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাহা নজিরবিহীন।পৃথিবীর ইতিহাসে এমন জঘন্য কাজ এবং এক রাতে এত মানুষ হত্যার ঘটনা দ্বিতীয়টি আর নেই । দীর্ঘ এতটি বছর পর এই দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মাসুদ হোসাইন, ফার্স্ট সেক্রেটারি শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান তালুকদার, কমার্শিয়াল উইং রাজিবুল আহসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি তাহমিনা ইয়াছমিন, দ্বিতীয় সচিব সচিব শ্রম মো. ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা,ব্যবসায়ী,সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান