‘সাগরের মত বিশাল হৃদয়ের অধিকারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলমত-নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়েই বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধি দিতে চান। এটি শুধু কথার কথা নয়। অনেক সময় আমাদের অনেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিয়ে নানা মন্তব্য করেন জননেত্রীর সামনে। সে সব আমলে না নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অতন্ত স্বাভাবিকভাবেই জবাব দেন যে, ওরাও তো বাংলাদেশেরই মানুষ। ওদের কথাও আমাকে শুনতে হবে। তাহলেই তো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সুসংহত হবে এবং উন্নয়নের সুফল দ্রুত পাওয়া যাবে’-এসব কথা বলেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
১৬ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে চট্টগ্রামবাসীর সাথে মতবিনিময় সমাবেশে চট্টগ্রামের এমপি নওফেল আরো বলেন, ‘জাতিসংঘ সদর দফতরে চলমান সিএসডব্লিউ (কমিশন অন স্ট্যাটাস অব উইমেন)’র ৬৩তম অধিবেশনে যোগদান না করলে বুঝতেই পারতাম না যে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গুরুত্ব কত অপরিসীম। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে সকলেরই প্রচন্ড আগ্রহ। অনেকেই বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনার কথাও জানতে চান কৌতুহল মেটাতে। ছোট্ট একটি ভূখন্ড, নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। সেই দেশটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে আজ উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে, সে কৌতুহল আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
নওফেল বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন থেকেই লন্ডনে ছিলাম। সেখানেই শিক্ষা গ্রহণ করেছি। তবে লন্ডনের চেয়ে নিউইয়র্কের প্রবাসীরা অনেক বেশী অভিভূত করেছে আমাকে। এটা সম্ভব হয়েছে এখানকার সমাজ-ব্যবস্থার কারণে। প্রায় সবাই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়ে দেশান্তরির স্বপ্ন পূরণের পথে রয়েছেন।’
চট্টগ্রামের কিছু সমস্যা নিয়েও কথা বলেন নওফেল। বর্তমান সরকার কর্তৃক ৬ হাজার কোটি টাকায় গৃহিত বিভিন্ন প্রকল্পের আলোকপাত করে বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানই শুধু নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারি উন্নয়ন ঘটবে চট্টগ্রামে।
শুরুতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বীর চট্টলার প্রবাসীরা। এরপর নওফেলকে চট্টগ্রাম সমিতির সদস্যপদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আব্দুল হাই জিয়া এবং পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশ্রাব আলী খান লিটন।
আলোচনায় অংশ নেন সমিতির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি খোকন কে চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাসুদ হোসেন সিরাজ, কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী, সাংষ্কৃতিক সম্পাদক শাহাবউদ্দিন চৌধুরী লিটন, নির্বাহী সদস্য শফি শিকদার। বিশিষ্টজনদের মধ্যে আলোচনায় আরো অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি প্রার্থী কাজী নয়ন, চট্টগ্রাম সমিতির আজীবন সদস্য আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, নবী চৌধুরী এবং এ টি এম নাজির, সাবেক সভাপতি সারোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন