শিরোনাম
- জবি শিক্ষার্থীদের দাবি ‘ন্যায়সংগত’, মেনে নেওয়ার আহ্বান জামায়াতের
- জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে
- টিকটকে নাচের ভিডিও দিয়ে বেশ ঝামেলায় ট্রাম্পের নাতনি
- ধুঁকছে শিল্প, স্বস্তি চান উদ্যোক্তারা
- ভারতের ৯ বিমানবন্দরে তুর্কি সেলেবি এভিয়েশনের লাইসেন্স বাতিল
- রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে ৬ লাখ হেক্টরের বেশি বনভূমি পুড়ে ছাই
- ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল ছাড়াই ভারতকে প্রতিহত করতে সক্ষম পাকিস্তান’
- “আবাসনের দাবি ন্যায্য”, জবি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস উপদেষ্টা মাহফুজের
- 'জবি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে দ্রুত আলোচনায় বসুন'
- মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. আসিফ নজরুলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- জবির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাবেশ সকালে, জুমার পর গণঅনশন
- টানা ৩৩ ঘণ্টা ধরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন জবি শিক্ষার্থীরা
- পুতিন আর আমি একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না, ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প
- দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৭৮৯ জন
- চিলি-কলম্বিয়া ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা, ফিরলেন মেসি
- ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন স্পেনের
- কমলো স্বর্ণের দাম
- ইন্দোনেশিয়ায় সেনা অভিযানে ১৮ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত
- আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম ত্যাগ করল “বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ”
- মার্কিন পণ্যে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত
সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ব্যর্থতা নিয়ে বললেন মাসুদ বিন মোমেন
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের পদ্ধতিগত ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন। এসময় তিনি গুয়েতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ট রোজেনথাল প্রণীত 'মিয়নামারে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত' শীর্ষক সাম্প্রতিক রিপোর্টের বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
“সুরক্ষার দায়-দায়িত্ব (আরটুপি) এবং গণহত্যা প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নির্মূল ও মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ: মহাসচিবের রিপোর্ট” বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ আয়োজিত প্লেনারি আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এসকল কথা বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর যে বীভৎস সহিংসতা হয়েছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তথ্য-প্রযুক্তিগত সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও পূর্ব-সতর্কতা নিরূপনের মতো বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও প্রতিষ্ঠান পূর্ব সর্তকতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি ছিল ব্যাপক ও গভীর; এটি হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়নি। এখানে পূর্ব-সতর্কতা চিহ্ন প্রাপ্তির কোনো ঘাটতি থাকার কথা নয়, কিন্তু সময়োপযোগী পদক্ষেপের ঘাটতি ছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে তা রোজেনথালের সাম্প্রতিক রিপোর্টে স্পস্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ রোজেনথালের রিপোর্ট থেকে অংশ বিশেষ উদ্বৃত করে বলেন, এটি অবশ্যই বলা যেতে পারে যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের যখন বিশেষ সমর্থন ও ধারাবাহিক সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল তখন নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘের সমন্বিত ব্যবস্থা যথেষ্ট সমর্থন যোগাতে ব্যর্থ হয়েছে আর তাই এ দায়ের অংশবিশেষ এসকল প্রতিষ্ঠানের উপর অনেকাংশ বর্তায়।
রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় ও সহযোগিতা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের উদারতার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, য়াবহ নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার দৃশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন অসহায়ের মতো চেয়ে চেয়ে দেখছে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে এসেছেন। রোহিঙ্গাদের প্রতি এই উদারতা প্রদর্শনের জন্য মাদার অব হিউম্যানিটি নামে খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে যদি ভাগ্য বিড়ম্বিত অসহায় এই জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় না দিতেন তাহলে তাদের যাওয়ার আর কোনো যায়গা ছিল না।
এ জাতীয় বর্বরোচিত ঘটনার দায়-দায়িত্ব নিরূপন বিষয়ক আরটুপির’র স্তম্ভ-২ ও স্তম্ভ-৩ এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা বিষয়ে ব্যর্থ হতে পারি না। এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমারে এবং এর সমাধান মিয়ানমারেই নিহিত। মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মিয়ানমারকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
'সুরক্ষার দায়-দায়িত্ব (আরটুপি) এবং গণহত্যা প্রতিরোধ, যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নির্মূল ও মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ' ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আনুষ্ঠানিক এজেন্ডা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিজ্ মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ ও জাতিসংঘ মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট (জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে) এ সভার উদ্বোধনীতে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ৭০টিরও বেশী সদস্যরাষ্ট্র এই প্লেনারি আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর