ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, টেক্সাস, শিকাগো, ম্যারিল্যান্ড, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, লুইজিয়ানায় ৩ দিনের অভিযানে বিভিন্ন দেশের ৩৯ জন যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। তাদেরকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইউএস ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট তথা আইসের পক্ষ থেকে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ সংবাদদাতাকে আরও জানানো হয়, ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩ দিনের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ওই ৩৯ জন যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী ছাড়াও আরও ১৬ জন রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, বিচারবহির্ভূত হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
আইসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনওই অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য নয়’ (No Safe Haven V) কর্মসূচির আওতায় এ অভিযান পরিচালিত হয় আইসের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ওয়্যার ক্রাইম সেন্টার, প্রিন্সিপাল লিগ্যাল এডভাইজার অফিসের সমন্বয়ে এবং অভিযানে ছিলেন আইসের এ্যানফোর্সমেন্ট এ্যান্ড রিম্যুভাল’র আটলান্টা, বাল্টিমোর, শিকাগো, ডালাস, হিউস্টন, লসএঞ্জেলেস, মায়ামি, নিউঅর্লিন্স, নিউইয়র্ক সিটি, নউিয়ার্ক, সল্ট লেইক সিটি, সানফ্রান্সিসকো ফিল্ড অফিসের কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ জারি হয়েছে। এখন তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেসব দেশ থেকে তারা এসেছিল। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে, এল সালভেদর, গুয়াতেমালা, চীন, লাইবেরিয়া, কম্বোডিয়া, চাদ, চিলি, কলম্বিয়া, আইভরিকোস্ট, ঘানা, হাইতি, হন্ডুরাস, জ্যামাইকা, নিকারাগুয়া, সিয়েরা লিয়ন এবং সুদান।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এ ধরনের প্রথম অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিল ২১ জন যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী।
এ প্রসঙ্গে আইসের পরিচালক ম্যাথিউ আলবেঞ্চ বলেন, ‘আমরা কখনওই যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হতে দিব না এবং আমরা সবসময় সোচ্চার রয়েছি এমন অপরাধীদের ব্যাপারে।
দণ্ডিত ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী অথবা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের তথ্য জানাতে ১-৮৬৬-৩৪৭-২৪২৩ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে। বিদেশ থেকে ফোন করতে হয় ০১১-১৮০২-৮৭২-৬১৯৯ নম্বরে। ই-মেইল[email protected]
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০০৩ সাল থেকে ৪১৫ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৯৯০ জনকে গ্রেফতারের পর নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫২ জনকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে ধরে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে ৯৫ দেশের ১৭০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম