নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ লক্ষাধিক আমেরিকানকে ‘ওয়াচ লিস্ট’র তালিকায় নেওয়ার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থী হিসেবে রুলিং দিলেন ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ এ্যান্থনি ট্রেঙ্গা।
‘কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স’ (কেয়ার) এবং ২৩ জন সিটিজেন সম্মিলিতভাবে এই মামলা দায়ের করেছিলেন যে, তাদেরকে ভুলবশতঃ ওই তালিকায় নেওয়া হয়েছে। তারা কখনওই সন্ত্রাসে লিপ্ত ছিলেন না বা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ন্যূনতম যোগাযোগও নেই। কিংবা তারা কোনও ধরনের জঙ্গিবাদেও বিশ্বাসী নন।
রুলিংয়ে বলা হয়েছে, টেররিস্ট ওয়ার্চ লিস্ট’র নামে যা করা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এ ধরনের সুযোগ নেই। কারণ, কোন ধরনের অপরাধে লিপ্ত না থাকা সত্ত্বেও ওই ধরনের তালিকায় কাউকে রাখা বা বাদ দেওয়ার মধ্যে নাগরিকের অধিকার লঙ্ঘনের বিষয় জড়িত।
উল্লেখ্য, এই ডাটাবেস যুক্তরাষ্ট্রের সকল সরকারি অফিস, গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ স্টেশন, এয়ারপোর্টে সরবরাহ করা হয়েছে। এমনকি বিদেশি সরকারের কাছেও দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী গেডিয়ের আব্বাস বলেছেন, ওই তালিকা করা হয়েছে সন্ত্রাস প্রতিরোধের জন্য নয়। কারণ, কিছু লোক, যারা সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে, তাদের নাম সেখানে নেই।
আব্বাস আরও উল্লেখ করেছেন, ফ্লোরিডায় পালস নাইট ক্লাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করেছে ওমর মতিন। তার নাম একপর্যায়ে ওই তালিকায় থাকলেও পরবর্তীতে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরই তিনি ওই হিংস্রতা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিমানে উঠার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে- এমন আরেকটি তালিকা রয়েছে ফেডারেল অথরিটির। সেটির নাম ‘নো-ফ্লাই লিস্ট’। সেটির বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রয়েছে ফেডারেল কোর্টে। এই মামলার বাদীরা সেই মামলায় যুক্ত নন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের জুনে প্রাপ্ত সর্বশেষ ওয়াচলিস্টে রয়েছেন ১০ লাখ ১৬ হাজার মানুষের নাম। এর অধিকাংশই স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন না। ফেডারেল অথরিটি স্বীকার করেছে, ওই তালিকায় মাত্র ৪,৬০০ জন মার্কিন সিটিজেন/গ্রিনকার্ডধারী রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম