কাতারের দক্ষিণে সৈকত নগরী আল ওয়াকরার “রয়েল প্যালেস হোটেলে সম্প্রতি ফ্রেন্ডস অব কাতার-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল “শরৎ উৎসব”। স্বদেশের প্রকৃতিতে এখন চলছে শরৎকালের অন্তহীন রূপের খেলা। সূদূর প্রবাসে বসেও বাঙালির অনুভবে যেনো উড়ে চলে শরতের সাদা মেঘের ভেলা, স্বপ্নের মধ্যে দোল খায় সাদা কাশফুল। দেশে ফেরার টান, কাশবনে হারিয়ে যাওয়ার নষ্টালজিয়া ভাবাতুর করে তোলে মন। তাইতো মরুর দেশ কাতারে বসেও শরৎ বন্দনায় মেতে উঠেছিল কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি।
উৎসবে শুরুতেই অতিথিদের স্বাগত জানান প্রকৌশলী ইলিয়াস কাঞ্চন। এর পর বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক পর্বের আয়োজক প্রকৌশলী ওয়াসিকুর রহমান। পুরো উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক পর্ব। প্রকৌশলী রিফাত তাসমিন শাহেদ চৈতীর সাবলীল সঞ্চালনায় সাংসকৃতিক অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। শরতের গান, নৃত্য, কৌতুক, ছোট-বড় সবার জন্য গেমস, শরতের বৈশিষ্ট নিয়ে ধাঁধা, ফ্যাশন শো, সবই ছিল এই পর্বে।
বিশেষ করে প্রকৌশলী ইলিয়াস শামসের কৌতুক, প্রকৌশলী লুৎফর পরিচালিত গেমস এবং প্রকৌশলী বুলবুলের গান সবাইকে মুগ্ধ করে। সাংস্কৃতিক পর্বের ফাঁকে ফাঁকে উৎসবে আগত গুনী অতিথিদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রেকৌশলী আনোয়ারুল হাসান, জাফর আহমদ, মোহাম্মদ সাহেদ, প্রকৌশলী আরিফ-উদ্দৌলা পাহলোয়ান, মাহমুদ খান, প্রকৌশলী সাইফুল্লাহ, নাসরিন সুলতানা মনি, ইসরাত মামুন, চামেলী আরিফ, মাহজাবিন ফেরদৌসি প্রমুখ।
গীতিকার, লেখক ও নগর পরিকল্পনাবিদ ড. প্রকৌশলী. আবদুল্লাহ মামুনের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শরৎ উৎসব সমাপ্ত হয়। মরু প্রবাসে ফ্রেন্ডস অব কাতার-এর উদ্যোগে আয়োজিত কাতারের প্রথম শরৎ উৎসব বহুদিন মনে রাখবে সবাই।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা