২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০৪:২৪

ওয়াশিংটন দূতাবাসে নির্মিত হল স্থায়ী শহীদ মিনার

বিশেষ প্রতিনিধি

ওয়াশিংটন দূতাবাসে নির্মিত হল স্থায়ী শহীদ মিনার

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে নির্মিত হয়েছে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার। ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় গত ২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)।

নবনির্মিত শহীদ মিনারের উদ্বোধন করে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের সেক্রেটারি অব স্টেট কিমবারলে ব্যাসেট। এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনসহ দূতাবাসে শীর্ষ কর্মকর্তারা পাশে ছিলেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনায় বায়ান্ন’র ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা বলেন, গোটাবিশ্বে হুমকিতে থাকা ভাষা রক্ষায় সব জাতি গোষ্ঠীকে একসাথে কাজ করতে হবে।

এবারের দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, রাশিয়া, নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, ইউক্রেন এবং শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ডেপুটি চিফ মাহবুব হাসান সালেহ’র লেখা একুশের কবিতা ‘একুশ আমার’ আবৃত্তি করেন মার্কিন কূটনীতিক ড্যানিয়েল বাকম্যান।

বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন।
একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেন এবং শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন কূটনীতিকরা। এর আগে ভাষা শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।

আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেন, “যেহেতু বাংলাদেশ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি আদায়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে, সেহেতু বাংলাদেশকে শুধু বাংলা ভাষাই নয় পৃথিবীর অন্য ভাষাগুলোকেও সংরক্ষণের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্য ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারষ্পরিক সমঝোতা, সহানুভূতি এবং সংলাপের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পেতে পারে।”

বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে বর্ণিল এবং জমজমাট। অনুষ্ঠানে ভয়েস অব আমেরিকা ছাড়া ফ্লোরিডা থেকে অংশ নেয় ফ্লোরিডা বাংলা টেলিভিশন। অনুষ্ঠানটি ফ্লোরিডা বাংলা টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচারসহ পুরোটা ধারণ করে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশনটির সিইও টিটন মালিক, পরিচালক আওলাদ হাওলাদার এবং বার্তা সম্পাদক ফুয়াদ জালালসহ অনেকে। দূতাবাস কর্মকর্তারা টেলিভিশনটির কার্যকর ভূমিকায় ব্যাপক প্রশংসা করেন।

এ প্রসঙ্গে টিটন মালিক বলেন, “একটি গণমাধ্যম হিসেবে প্রবাসে এমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারাটা অনেক গৌরবের। বিশেষ করে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করতে চাই আমরা”।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর