যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা বিশেষ বিমানযোগে স্বদেশে ফিরছেন। কাতার এয়ারওয়েজের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৪ অথবা ১৫ মে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
৫ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা পৃথক পৃথকভাবে এ সংবাদদাতাকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে উদগ্রিব তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দুই শতাধিক বাংলাদেশি যোগাযোগ করেছেন এ যাবত।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন ওয়াশিংটনে দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। নিজেদের খরচেই তারা ফিরবেন। দূতাবাস ও কন্স্যুলেট শুধু সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, মাথাপিছু ২২০০ ডলার করে লাগবে ভাড়া বাবদ। ৮ মে’র মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নাম রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ক্রয় করতে হবে (‘ওরিক্স এভিয়েশন লি.’ ফোন +৮৮০১৭১৩০৯৪৬৬৪ অথবা ই-মেইল- [email protected]।
দূতাবাস ও কন্স্যুলেটে ইতিমধ্যেই যারা যোগাযোগ করেছেন তাদের সকলের তালিকা ‘ওরিক্স এভিয়েশন লি. কে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ দূতাবাস/কন্স্যুলেটের মাধ্যমেই যাত্রী হিসেবে তালিকাভুক্ত হবার প্রাথমিক কাজটি সারতে হবে। সরাসরি কেউ ঐ ট্র্যাভেল এজেন্টকে ফোন অথবা ই-মেইল করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন না।
বিশেষ ফ্লাইট ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ডালাস এয়ারপোর্ট অথবা নিউইয়র্কে জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে রওয়ানা দেবে। ফ্লাইট ছাড়ার চূড়ান্ত সময়সূচি শীঘ্রই সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেয়া হবে।
দূতাবাস কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ‘ওরিক্স এভিয়েশন লি.’ নামক একটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান এই চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণেচ্ছুক আটকেপড়া যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের সাথে সমন্বয় সাধন করছে।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার ‘ওরিক্স এভিয়েশন লি.’ বাংলাদেশে কাতার এয়ারওয়েজ কার্গো বিমানের জিএসএ (সাধারণ বিক্রয় প্রতিনিধি) হিসেবে কাজ করে।
প্রেস মিনিস্টার আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও অঙ্গরাজ্যে অবস্থানরত সকল নিবন্ধিত ও টিকিট ক্রয়কৃত যাত্রীকে সম্পূর্ণ নিজ ব্যবস্থায়/যানবাহনে/আভ্যন্তরীন ফ্লাইটে জেএফকে অথবা ডালাস এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে হবে। বিমানে ভ্রমণের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে নিজ দায়িত্বে অবশ্যই “কোভিড-১৯ মুক্ত” অথবা “কোভিড১৯ উপসর্গ-মুক্ত” মর্মে ডাক্তারী সনদ সংগ্রহ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের নিকট হতে এই সনদ সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই সনদ বিমান যাত্রার ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে সংগৃহীত হতে হবে।
কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা জানান, ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণের পর সকল যাত্রীকে নিয়মমাফিক পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক বাধ্যতামূলকভাবে ২ (দুই) সপ্তাহ “প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন”অথবা“হোম কোয়ারেন্টাইন”-এ অবস্থান করতে হবে।
কেবলমাত্র বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী এবং ক্ষেত্র বিশেষে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পিতা-মাতার সফরসঙ্গী বিদেশী পাসপোর্টধারী সন্তানেরা এই বিশেষ ফ্লাইটে ভ্রমণের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন