করোনায় বিপর্যস্ত নিউইয়র্কে গত এক মাস যাবত সংক্রমণের হার একেবারেই কমে যাওয়ায় পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় প্রবাসীরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। সিটির আশপাশের প্রায় প্রতিটি পার্কেই অন্য কমিউনিটির মত বাংলাদেশিরাও সপরিবারে ‘বনভোজন’-এ মিলিত হচ্ছেন। গত রবিবার এমনি একটি বর্ণিল উৎসবে মিলিত হন বরিশাল বিভাগের প্রবাসীরা।
‘প্রবাসী বরিশাল বিভাগীয় ফ্রেন্ডস এ্যান্ড ফ্যামিলি’র ব্যানারে শতশত নারী-পুরুষ আর শিশুর উচ্ছ্বল উপস্থিতিতে ‘ফ্লাশিং মেডোজ করোনা পার্ক’ যেন একখন্ড বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল। করোনার আতংক এখনও বিদ্যমান থাকায় প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নানা ধরনের খেলাধূলার আয়োজন করা সম্ভব না হলেও শিশু-কিশোররা মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় পার্ক চষে বেড়িয়েছেন। টানা ৯০ দিন লকডাউনের পর কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যায়ক্রমে অফিস-আদালতসহ ব্যবসা কেন্দ্র খোলা হলেও পার্কগুলোতে তালু ঝুলছিল। সেই তালা গতমাসে খুলে দেয়া হয়েছে ৫০ জনের কম লোক জড়ো হওয়ার শর্তে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাবার গ্রহণের আগ পর্যন্ত সকলের জন্যেই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। বরিশালের প্রবাসীরাও সেই রীতি মেনেই দিনভর পার্কেই রান্না করেন এবং হৈ-হুল্লুড়ের মধ্যে সে সব খাবার গ্রহণ করেন। মহামারিতে অনেকে প্রিয়জন, প্রিয় পরিচিতজনকে হারিয়েছেন। এখনও কেউ কেউ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে কে কীভাবে দিন কাটিয়েছেন-সেসব ছিল গল্প-আড্ডার প্রধান বিষয়। পুনরায় সকলে মিলিত হতে পেরে শুরুতেই পরমকরুণাময়ের শোকরিয়া আদায় করেন।
প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে এ মিলনমেলার আয়োজকদের অন্যতম ছিলেন রুহুল আমিন নাসির, মোশারফ হোসেন সবুজ, মো. শাহ আলম, এ কে আজাদ তালুকদার, নূর আলম খান, আতাউর রহমান মামুন, এম ইসলাম মামুন, মামুনঅর রশীদ, আক্তারুর রহমান মামুন, এস ইসলাম মামুন, রেজাউল করিম, ইলিয়াস হাবিব প্রমুখ। অতিথির মধ্যে ছিলেন যুবনেতা এম এ বাতিন, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা। এ আনন্দ-উৎসবে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন রফিকুল ইসলাম জিয়া, জাকির হোসেন লিটন, রেজবুল কবির, মঞ্জুর মোর্শেদ, মো. মাসুদ হোসেন, এম এ জলিল, আশিক মাহমুদ, রুবেল গাজী, মো. মহসিন, এফ খান চুন্নু, আক্তারুজ্জামান, মো. আল আমিন, আব্দুর রব, পারুল আকতার প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন