শিরোনাম
- নাম্বার ওয়ান হতে চান মিরাজ
- নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
- যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের
- বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরির পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণের লক্ষ্যে বিডা'র সভা
- বক্স অফিসে কত আয় করল অজয়ের ‘রেইড টু’?
- দুর্নীতি মামলায় জুবাইদা রহমানের জামিন, আপিল শুনানির জন্য গৃহীত
- সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে সারা দেশে ছাত্রদলের কর্মসূচি
- কানাডার নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত
- চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হৃদপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা
- বিশ্বের ‘দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা আর নেই
- বেনাপোল কাস্টমসে চলছে কর্মবিরতি
- ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত
- গরমে শরীরে পানিশূন্যতা বাড়ায় যেসব খাবার
- গাজায় বর্বরোচিত হামলা ইসরায়েলের, নিহত ৮১
- মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান
- অস্কারজয়ী পরিচালক রবার্ট বেন্টন মারা গেছেন
- ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে: সাদা দল
- চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- শত চ্যালেঞ্জেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী
- আজ ঢাকার বাতাস সহনীয়
তুরস্কে দূতাবাস কমপ্লেক্স নির্মাণ শেষে ২.২৬ কোটি টাকা ফেরত
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

গত ৩ সেপ্টেম্বর তুরস্কের আঙ্কারাতে বাংলাদেশ দূতাবাস কমপ্লেক্সের নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প শেষে দূতাবাস ২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা সরকারী ফান্ডে ফেরত প্রদান করেছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা।
৪২৮৩ বর্গ মিটার ক্ষেত্রফল আয়তনবিশিষ্ট দূতাবাস কমপ্লেক্সের মধ্যে আছে অফিস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, "বিজয় একাত্তর" নামের ২২৯ আসন সংখ্যার উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন মিলনায়তন, স্বয়ংক্রিয় মেকানিকাল ও ইলেকট্রিকাল সিস্টেম, মসজিদ, ব্যায়ামাগার, বাংলাদেশী সামগ্রীর প্রদশর্নী কেন্দ্র, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়ে একটি পাঠাগার।
তাছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিফলক হিসেবে ওই কমপ্লেক্সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ এবং ভাষা শহীদদের স্বরণে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া "অজেয় বাংলাদেশ" শিরোনামে একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল ও বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপরে টেরাকোটা স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশী স্থাপত্য রীতির আমেজ নিশ্চিত করতে ভবন দুটির বহির্ভাগে লাল ইটের এবং সমতল ছাদের ব্যবহার করা হয়েছে।
১৪ নভেম্বর ২০১০ সালে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক মিশন নির্মাণের জন্য প্লট বিনিময়ের বিষয়ে একটি প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই প্রোটোকলের ফলে দু’দেশের রাজধানীতে নিজস্ব দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি প্রাপ্তির বিষয়টি সহজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্ক সফরকালে চ্যান্সারী কমপ্লেক্স প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং প্রকল্প স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ স্থাপন করা হয়।
২০১৫ সালের শেষের দিকে বর্তমান প্রকল্প পরিচালক তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকীর দূতাবাসে যোগদানের পর হতে প্রকল্পের বাস্তবায়ন বেগবান হয়। প্রকল্পের বহুল প্রতীক্ষিত নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে। নির্মাণ কাজ শুরুর পরে তা শেষ হওয়ার নির্ধারিত ১৮ মাস মেয়াদের প্রায় ৫ আগেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জল ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ২টি বরফাচ্ছন্ন শীতকাল এবং পরিশেষে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতিক‚ল প্রভাবে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত ১৮ মাসের স্থলে ২০ মাসে সুসম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নব নির্মিত দূতাবাস কমপ্লেক্স ঢাকা থেকে অনলাইনে শুভ উদ্বোধন করবেন। এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাবুসওলু দূতাবাসে উপস্থিত থাকবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর