শিরোনাম
- শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
- মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
- ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা মালয় মেইলের প্রধান সম্পাদক সাই ওয়ানের মৃত্যু
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা মালয় মেইলের প্রধান সম্পাদক দাতুক ওয়াং সাই ওয়ান মৃত্যুবরণ করেছেন। শুক্রবার দেশটির সুবাংজায়া মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। সাই ওয়ানের ছেলে ওয়াং চি মুন মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদমাধ্যম বার্নামাকে জানিয়েছেন, তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিদায়বেলায় ছেলে চি মুন ছাড়াও, সাই ওয়ান তার স্ত্রী লু পোহ লিং এবং কন্যা ওয়াং ইয়িক পেনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
মালয় মেইলের প্রধান সম্পাদক দাতুক ওয়াং সাই ওয়ানের মৃত্যুতে মালয়েশিয়ার সাংবাদিকতা জগতের জন্য বড় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাজা ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগোং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মোস্তফা বিল্লাহ শাহ। ওয়ানের মৃত্যুতে তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ দিকে মালয় মেইলের সম্পাদকের মৃত্যুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন মালয় মেইলের ওয়াং সাঁই ওয়ানকে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার রূপক হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মালয়েশিয়ার সাংবাদিকতায় ওয়াং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা তার সহকর্মী, সেরেম্বানের তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং রাজনীতিবিদসহ ওয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সাই ওয়ান ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে ‘দ্য স্টারে’ সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেছিলেন। নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছিলেন। এরপরে ২০১৬ সালে প্রধান সম্পাদক হিসেবে মালয় মেইলে যোগ দেন।
মালয় মেইলের ডেপুটি এডিটর-ইন-চিফ জোসেফ রাজ জানিয়েছেন, সাইয়ানের মৃত্যুতে মালয় মেইল পরিবার শোকাহত। সাই ওয়ানকে গভীরভাবে মিস করবে মেইল পরিবার। তার মতে, তিনি কেবল আমাদের সম্পাদকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের বন্ধু, যিনি আমাদের পেশাগতভাবেই নয়, ব্যক্তিগতভাবেও তার নির্দেশনা এবং সহায়তায় সর্বদা ছিলেন আমাদের পাশে।
মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (বার্নামা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাতুক মোক্তার হুসেন বলেছেন, সাই ওয়ান বরাবরই একজন ভালো সাংবাদিক ছিলেন এবং মালয়েশিয়ার সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও ছিলেন। আশির দশক থেকে সাইওয়ানকে আমি চিনি।
বার্নামার সম্পাদক-ইন-চিফ আবদুল রহমান আহমদ সাইওয়ানকে তার বন্ধু এবং সাংবাদিক হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন যা তার দৃঢ় ধারণা, লেখার দক্ষতা এবং তথ্য ভাগ করে নেয়ার আগ্রহের জন্য পরিচিত ছিল।
বার্নামার সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীণ সাংবাদিক দাতুক সেরি আজমান উজং বলেন, সাই ওয়ান মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার চিত্রকে চিত্রিত করেছেন, এই খ্যাতি তিনি শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত কাজেই নিষ্ঠার সঙ্গে রক্ষা করেছেন। আমরা সত্যিকারের একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে হারালাম।
দ্য স্টারের কোর্ট রিপোর্টার নুরবাইতি হামদান, যিনি ২০০৮ সালের প্রথম দিকে দ্য স্টারে ইন্টার্নশিপ চলাকালীন সায় ওয়ানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত।
নূরবাইতি বলেন, সায় ওয়ান একজন ভালো মনের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি জানেন যে তিনি সাংবাদিকদের যে কাজ দিয়েছেন, সেখান থেকে তিনি কি চান। কুয়ালালামপুরের চেরাসের জালান কুয়ারিতে জিয়াও এন সেন্টারে শনি ও রবিবার বেলা ১১টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ওয়ানের জন্য একটি স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিকে মহামারি সংক্রমণ রোধে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের (এমসিও) অধীনে (এসওপি)র কারণে, কেবল উপস্থিত জনগণ যদি অনুমতিপ্রাপ্ত সংখ্যার বেশি হয় তবে ৫০ জনকে একযোগে অনুমতি দেয়া হবে। ১৭ মে সকাল দশটায় সমাহিত করা হবে তার মরদেহ। সে সময় ১৫ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
এই বিভাগের আরও খবর