ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী(মুজিববর্ষ) ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই বিদেশে প্রথম বাংলাদেশ মিশন হিসেবে জার্মানির বার্লিনের সাথে গ্রিসের এথেন্সেও চালু হতে যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা।
গ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে দূতাবাসে যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা।
এ প্রসঙ্গে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মেদ জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর গ্রিস, মাল্টা ও আলবেনিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা নির্ধারিত ফি দিয়ে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া ই-পাসপোর্ট-এর একটি মোবাইল ইউনিট দূতাবাসের পৌঁছেছে। ফলে গ্রিসের দূরবর্তী দ্বীপাঞ্চল, মাল্টা ও আলবেনিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা এথেন্সে না এসেই সেই সব জায়গায় দূতাবাসের কনস্যুলার ক্যাম্পে ভ্রাম্যমাণ ইউনিটের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চালু হওয়া এই ই-পাসপোর্ট এর কারণে একদিকে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে, তেমনি ই-পাসপোর্ট বহনকারী প্রবাসীদের জন্য ভ্রমণকালীন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজতর হবে। তিনি গ্রিস, মাল্টা ও আলবেনিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে তাদের সর্বপ্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা গ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
